জলপাইগুড়ি: অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে হল বাংলার জনগণকে। জলপাইগুড়িতে অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী গাড়ি পরিষেবা না পেয়ে মৃতদেহ কাঁধে করেই বইতে হল দু’জন অসহায়কে। তাদের মধ্যে একজন মৃতার স্বামী এবং অন্যজন ছেলে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার ক্রানি এলাকার। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মীরানী দেওয়ান। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় মর্মাহত বঙ্গবাসী।
আরও পড়ুন- মরসুমের শীতলতম দিন! রাজ্য জুড়ে জাঁকিয়ে শীত, কতটা শীতল কলকাতা?
জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীরানী জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হলে ৩ হাজার টাকা ভাড়া চাওয়া হয়। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না মৃতার স্বামী বা ছেলের। একই কারণে শববাহী গাড়িও পায়নি তারা। অগত্যা এই ঠান্ডায় মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দুজন। যদিও পরে খবর পেয়ে রাস্তায় ছুটে আসে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কিছু কর্মী। শেষে সংস্থার শববাহী গাড়িতে দেহ তোলা হয়।
মৃতার ছেলে রাম প্রসাদ দেওয়ান অভিযোগ করেন, হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করার সময়ে ৩ হাজার টাকা ভাড়া চাওয়া হয়েছিল। এত টাকা তাদের কাছে ছিল না। আগের দিন তাঁর মাকে নগরডাঙ্গা থেকে হাসপাতালে আনতে ৯০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সকে। তাই ৩ হাজার টাকা কোনও ভাবেই তারা দিতে পারতেন না। জানা গিয়েছে, বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁর মা। বিষয় হল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তাহলে কেন সেই ব্যবস্থা করা হল না, প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে, হাসপাতালের ভেতর যারা বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স এবং শহবাহী গাড়ির পরিষেবা দিয়ে থাকেন তাদের টাকা চাওয়ার চাহিদা নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে।