সোমেন মিত্রর রাজনৈতির জীবনেও ঘটেছিল একাধিক পালাবদল

সোমেন মিত্রর রাজনৈতির জীবনেও ঘটেছিল একাধিক পালাবদল

কলকাতা: বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর প্রয়াণে কংগ্রেস রাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের অবসান ঘটল৷ বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে জীবনাবসান হয় তাঁর৷ বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর৷

আরও পড়ুন- ‘ছোড়দা’র প্রয়াণে মর্মাহত বাংলা, সোমেনহীন বঙ্গ রাজনীতির ময়দান

১৯৪১ সালে জন্ম হয় সোমেন্দ্রনাথ মিত্রের৷ ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি পরিচিত ছিলেন সোমেন মিত্র নামে৷ প্রয়াত বরকত গনিখান চৌধুরীর শিষ্য বলা হত তাঁকে। আমহার্স্ট স্ট্রিটের ‘ছোড়দা’ নামেই কংগ্রেস রাজনীতিতে অধিক পরিচিতি ছিল তাঁর৷ ১৯৭২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অধুনালুপ্ত শিয়ালদহ কেন্দ্র থেকে জিতে বেশ কয়েক বার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- মন্ত্রিত্ব, রাজ্যসভা এবং সারদা! ৩ কাঁটায় আটকে মুকুল-সাম্রাজ্য

২০০৭-’০৮ সালে কংগ্রেস ছাড়েন সোমেনবাবু৷ কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে প্রথমে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গঠন করেন তিনি। তার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন ছোড়দা। ২০০৯ সালে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতে সাংসদ হন তিনি। কিন্তু ফের মতবিরোধের জেরে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে ঘরে ফেরেন সোমেনবাবু৷ যোগ দেন কংগ্রেসে৷ 

আরও পড়ুন- পুলিশ-কর্তাদের সম্পত্তি হিসেব চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট রাজ্যপালের

নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে লড়াইয়ের পরেই দল ছেড়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন সোমেনবাবু৷ সালটা ১৯৯৮৷ এরপর ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ২০ বছর পর দ্বিতীয়বারের জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ফেরেন তিনি। 

আরও পড়ুন- কেমন ছিল মমতার সঙ্গে রাজ্যপাল সম্পর্কের অতীত? বলছে বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাস

রাজনৈতিক ভাবে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন থাকার সময় নিয়মিত ছোড়দার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের অন্দরে এই দুই বর্ষীয়াণ নেতার অনুগামীদের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও, সোমেনবাবুর শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে  খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন অধীর চৌধুরী। ছোড়দার মৃত্যুর পর অধীরবাবু বলেন, 'সোমেন মিত্র আর নেই এটা ভাবতে পারছি না। বাংলার একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল৷ সংগ্রাম করে, প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, আমাকে জনপ্রতিনিধি করার মূল কারিগর সোমেনদাকে হারিয়ে আমি দুঃখে কাতর ও বেদনাহত।'

আরও পড়ুন- ৩ বছরে ব্রাত্য গেরুয়া মুকুল! দু’হাত বাড়িয়ে ঘাসফুল, সময়ে সমীকরণ বদল?

আরও পড়ুন- শিক্ষকদের জন্য জারি হচ্ছে নয়া নিময়, নয়া শিক্ষানীতি কেন্দ্রের

আরও পড়ুন- ইংরাজি তুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা শিক্ষাদান, বাম-পথে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি

আরও পড়ুন- উচ্চশিক্ষার মাঝে নেওয়া যাবে দীর্ঘ বিরতি, লাটে মাধ্যমিক, এম ফিল! নয়া শিক্ষানীতি কেন্দ্রের

আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল বদল, কমছে দশমের গুরুত্ব, নয়া শিক্ষানীতি কেন্দ্রের

আরও পড়ুন- গুরুত্বহীন মাধ্যমিক, ৪ বছরে অনার্স, কলা-বিজ্ঞান মিশিয়ে নয়া শিক্ষানীতি কেন্দ্রের

আরও পড়ুন- স্কুলশিক্ষায় আমূল বদল, গুরুত্বহীন মাধ্যমিক! নয়া শিক্ষানীতিতে অনুমোদন কেন্দ্রের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *