কলকাতা: বাংলার রাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের অবসান৷ প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷ দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর প্রয়ান হয়৷ বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর৷ শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও বাম নেতৃত্ব৷
বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি৷ গত ২১ জুলাই তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে৷ হৃদরোগের পাশাপাশি ছিল কিডনির সমস্যা৷ ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর৷ শারীরিক দিনে দিনে খারাপ হচ্ছিল৷ পরে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোমেন মিত্র৷
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের যশোহর জেলায় জন্ম নেন সোমেনবাবু৷ ছয়ের দশকে রাজনীতিবিদ হিসেবে উত্থান হয় তাঁর৷ ছাত্র রাজনীতির থেকে শুরু তাঁর রাজনীতি৷ ১৯৭২ সালে শিয়ালদহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন তিনি৷ তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ ওই আসন থেকে ৭ বারের বিধায়ক তিনি৷ গনি খান চৌধুরীর শিষ্য বলে কংগ্রেসে ছিলেন পরিচিত৷
রাজনীতির ময়দা হোক কিংবা বিধানসভা, ‘ছোড়দা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন সোমেন৷ শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত৷ রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে সোমেন মিত্রের পরিবার ও বন্ধুদের সমবেদনা৷ মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, পুরনো দিনের বন্ধুকে হারালাম৷ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, সোমেনের নেতৃত্বে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম৷ আমাকে প্রথমবার জনপ্রতিনিধি হতে সাহায্য করেছেন৷ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলার পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির মুখ ছিলেন সোমেন মিত্র৷