তৃণমূলে আসছেন সোমেন পত্নী-পুত্র? ব্যাপক কৌতূহল

তৃণমূলে আসছেন সোমেন পত্নী-পুত্র? ব্যাপক কৌতূহল

e38fc21dd95c3f65fd2414410fd198b8

কলকাতা: অধীর চৌধুরীর দল পরিচালনা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই পদ ছেড়েছেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রোহন৷ সেই সঙ্গে উগড়ে দিলেন একরাশ ক্ষোভ৷ এবার জল্পনা তিনি এবং তাঁর মা অর্থাৎ সোমেন জায়া শিখা মিত্র যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে! ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের সঙ্গে রোহনের কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

সম্প্রতি কংগ্রেস শিবিরে বড় ভাঙন ধরেছে কারণ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এবার সোমেন পত্নী ও পুত্রকে নিয়ে ক্রমশ জল্পনা বৃদ্ধি হচ্ছে। যদিও পদত্যাগ প্রসঙ্গে সোমেন পুত্রের বক্তব্য, তিনি দল এখনও ছাড়েননি। দলের হয়ে কাজ করে যাবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে যদি তাঁরা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তাতে হয়ত সেই ভাবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অন্যদিকে, সম্প্রতি শিখা মিত্রকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, এখন বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে, মুকুল পত্নীর মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে কথাও হয় শিখার। সেটিকে অবশ্য সৌজন্য বলেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় আবার বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছিল শিখা মিত্রের। তাতে বেজায় চটেছিল তিনি। প্রার্থী হননি তিনি, স্বাভাবিক ভাবেই মুখ পুড়েছিল বিজেপির।

আরও পড়ুন- ‘সবার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’, সন্তান কোলে এই মন্ত্রেই জাগরিত চন্দনা

উল্লেখ্য, আজই রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন অধীর চৌধুরী৷ তার ঠিক আগে লম্বা ইস্তফাপত্র পাঠান সোমেন-পুত্র৷ এই চিঠির পরতে পরতে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ যে ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস চলছে তাতে যে তিনি নাখুশ তা একেবারে স্পষ্ট৷ অধীরের সভাপতিত্বে কী ভাবে মিত্র পরিবার উপেক্ষিত হয়েছে, সে কথাও চিঠিতে লেখা হয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে তাঁর দু’দফার মেয়াদে অধীর চৌধুরী কী ভাবে তাঁকে অপমান করেছে, কী ভাবে সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকার সময় যুব কংগ্রেসের নির্বাচনে তাঁকে হারানো হয়েছিল, সে কথাও তুলে ধরা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *