কলকাতা: রাজ্য বিজেপি’তে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে ফিরলেন স্বপুত্র মুকুল রায়৷ প্রায় ৪ বছর পর হল তাঁর প্রত্যাবর্তন৷ এদিকে দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন আরও অনেকে৷ তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? তা স্পষ্ট করলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- কেন তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন? মিলল না জবাব
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতির আঙিনায় বইছে উল্টো স্রোত৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দেওয়া বহু নেতা নেত্রীই দলে ফেরার আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দলনেত্রীর কাছে৷ কিন্তু বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে ফেরা তৃণমূল সরকার এখন সাবধানী৷ দলবদলুদের ঘর ওয়াপসি নিয়ে তাঁর সাফ বার্তা, ‘‘নির্বাচনের সময় অনেকেই দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। কিন্তু ভোটের সময় মুকুল তৃণমূল বিরোধী একটি কথাও বলেনি। যাঁরা নির্বাচনের সময় গদ্দারি করে বিজেপি’র হাত শক্ত করতে গিয়েছিল আমরা তাঁদের নেব না৷ এটাই দলের সিদ্ধান্ত৷’’ তাঁর কথায়, একদন নেতা হয় চরমপন্থী, একদন হয় নরম পন্থী৷ যাঁরা চরমপন্থা নিয়ে দলের বিরুদ্ধে গদ্দারি করেছে, সেই গদ্দারদের দলে নেওয়া হবে না৷
আরও পড়ুন- ঘরে ফিরলেন মুকুল, সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেজায় চটলেন মমতা
আজ মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি তৃণমূলত্যাগী সকল নেতাকেই ফেরানো হবে? এই প্রশ্নের সাফ জবাব দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রসঙ্গত, ভোটের আগে থেকেই মুকুলের প্রতি সুর নরম ছিল তাঁর৷ এমনকী প্রকাশ্য সভা থেকে বলেছিলেন শুভেন্দুর চেয়ে মুকুল অনেক ভালো৷ আবার বিধানসভা ভোটে মুকুল রায়কে কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী করার পর আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন ‘বেচারা’ মুকুল৷ আর কোনও জায়গা পেল না? কৃষ্ণনগর পাঠিয়ে দেওয়া হল? মমতার এই বার্তার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল৷