কলকাতা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঘর ওয়াপসি মুকুল-শুভ্রাংশুর৷ ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়৷ বিজেপি’তে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কাজ করার সুযোগ পাননি৷ দলের অন্দরে যোগ্য মর্যাদা পেয়েছিলেন কি মুকুল? বরং তাঁর চেয়ে অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷
আরও পড়ুন- ঘরে ফিরলেন মুকুল, সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেজায় চটলেন মমতা
দীর্ঘ দিন ধরেই মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা চলছিল৷ বিজেপি’তে থাকলেও ভোটের আগে থেকেই তিনি ছিলেন মৌন৷ তাঁর এই নীরবতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল৷ অবশেষে আজ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে প্রত্যার্পন৷ কিন্তু কেন বিজেপি ছাড়লেন মুকুল? নিজের মুখে কিছুই কবুল করলেন না তিনি৷ শুধু বললেন, যা বলার পরে বলব৷
এদিন মুকুল রায় বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে বেরিয়ে পুরনো জায়গায় ফিরে পুরনো সঙ্গীদের মাঝে খুবই ভালো লাগছে৷ আশা রাখি বাংলা আবার পুরনো জায়গায় ফিরতে পারবে৷ সামনে থেকে বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন ঘরে ফিরেছি তা বিস্তারিত ভাবে বলব৷ লিখিত ভাবে তা জানানো হবে৷ বিজেপি করব না বলেই তৃণমূলে এসেছি৷
আরও পড়ুন- ‘বাংলার মীরজাফর, উনি মৃত, মস্তক মুণ্ডন করব’, মুকুল নিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র
২০২১-এ বিধানসভা ভোটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণিত৷ কিন্তু তৃতীয়বার বঙ্গ জয়ের পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ২০২৪৷ নরেন্দ্র মোদীকে হঠানোর ডাক দিতে শুরু করেছেন মমতা৷ এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুকুল রায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতার প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই৷ ফলে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷