কলকাতা: শীতের বিদায় ঘটে গিয়েছে। বাংলায় গরমের আঁচ পড়তেও শুরু করেছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে খুশির বাঁধ ভাঙল পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের। কারণ ভারী তুষারপাতে ঢাকল সান্দাকফু, দার্জিলিং এবং সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কিছু কিছু জায়গায় এতই বরফ পড়েছে যে রাস্তায় পুরু স্তর জমে গিয়েছে এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। হোটেল, গাড়ি, বাড়ি সবকিছুই মাথায় এখন শুধুই বরফ। এই দৃশ্য দেখে স্বভাবতই খুশি পর্যটকরা।
আরও পড়ুন- ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিকে কেন সাহায্য করছে চিন? উদ্বেগে ওয়াশিংটন
ফেব্রুয়ারি মাস কার্যত শেষ। মার্চের শুরু থেকে তাপমাত্রা যে আরও বাড়বে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছে। এখনই গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। কিন্তু উত্তরবঙ্গে রবিবার থেকেই একদম উল্টো পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, সিকিমের ইয়ুমথাং ভ্যালি, লাচুং, জিরো পয়েন্ট, গুরুদংমার লেকে ভালই বরফপাত হয়েছে। এছাড়া সান্দাকফুর বেশিরভাগ অঞ্চল এবং দার্জিলিঙের আংশিক অঞ্চলেও তুষারপাত দেখা গিয়েছে। তাই পাহাড়ে এই সময়ে যারা ঘুরতে গিয়েছেন তাঁদের জন্য একেবারে সোনায় সোহাগা পরিস্থিতি। তবে কিছু জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার জন্য কিছু সমস্যাও তৈরি হয়েছে। মূলত গাড়ি চালকদের সতর্ক করে দিয়েছে প্রশাসন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”কিছুতেই সারছে না কাশি! অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ? Impact of adenovirus in children” width=”560″>
বছরের এই সময়টায় সাধারণত এইভাবে তুষারপাত হয় না। তাই ‘মেঘ না চাইতেই জল’ পেয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে বাঁধনছাড়া আনন্দে মেতেছে পর্যটকরা। দার্জিলিং, সিকিমে ঘুরতে যাওয়া মানুষ দারুণভাবে উপভোগ করছেন এই আবহাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১৬ বছর পর আবার এমন তুষারপাত হয়েছে সান্দাকফুতে। তবে এও স্পষ্ট জানান হয়েছে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে।