ওয়াশিংটন: লাদাখ সীমান্তে লাল ফৌজের উপস্থিতিতে চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ কড়া নজর রাখছে নয়া দিল্লি৷ চিনের সঙ্গে উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে মিত্রতা বাড়ানোর পন্থা নিয়ে চলছে বেজিং৷ শুধু একা পাকিস্তান নয়, ভারতের একাধিক প্রতিবেশী দেশকে ঋণের জালে বেঁধে ফেলছে শি জিনপিং-এর দেশ। হয়ে উঠছে সেই সকল দেশের ত্রাতা৷ যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল খোদ আমেরিকা। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিকে দেওয়া এই ঋণ কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না তো? সেই প্রশ্নই তুলেছে ওয়াশিংটন।
আরকও পড়ুন- তুরস্ক-সিরিয়া মিলিয়ে মৃত্যু পেরোল ৫০ হাজার, আরও কি বাড়বে সংখ্যা
পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের আরও দুই প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করে চলেছে চিন। মার্চ মাসের শুরুতেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন। তার আগেই আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তা ডোনাল্ড লু চিনের এই নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন৷
ডোনাল্ড লু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছি। ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গেও কথা বলছি। আমরা চাই ভারত নিজে সিদ্ধান্ত নিক, চিন বা অন্য কোনও দেশ দ্বারা তারা যেন প্রভাবিত না হয়।’ শুক্রবারই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশক দর জানিয়েছেন যে, বোর্ড অব চায়না ডেভেলপমেন্টের তরফে তাঁদের ৭০ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ডোনাল্ড লু-কে প্রশ্ন করা হতে তিনি বলেন, ‘ভারত আর আমেরিকার মধ্যে চিনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।’
এদিকে, ঋণের ভারে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে পাকিস্তানের৷ ভেঙে পড়েছে সে দেশের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চিন৷ দুঃসময়ে তাদের এই সাহায্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানের স্টেট ব্য়াঙ্কে সেই টাকা জমা পড়বে বলেও জানা গিয়েছে। শুধু একটি ঋণ নয়, আরও দুটি ঋণ পাকিস্তানকে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকবছর ধরেই চিনা ‘ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে চর্চা চলছে গোটা বিশ্বে। বিভিন্ন দেশকে অর্থ সাহায্য দিয়ে কার্যত তাদের নিজেদের বশে নিয়ে আসতে চাইছে বেজিং। গতবছর শ্রীলঙ্কায় যে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেটাই এর অন্যতম প্রমাণ। ভারতের পড়শি দেশ নেপাল এবং বাংলাদেশকেও নিজেদের ‘ঋণের ফাঁদে’ ফেলতে চাইছে চিন। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সেই ফাঁদে আর্ধেক পা দিয়ে গলিয়ে বসে রয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র নামে। আর এবার সে দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে চিনের থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য নিল পাকিস্তান। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ এই সাহায্যে পাকিস্তানের মূল সমস্যার সমাধান হবে? নাকি চিনের বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হবে পাকিস্তান?
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>