কলকাতা: একুশের ভোটে হাই-ভোল্টেজ নন্দীগ্রাম৷ এই কেন্দ্র থেকে সম্মুখ সমরে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী৷ এই লড়াইয়ে ছেলের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শিশির অধিকারী৷ প্রয়োজনে শুভেন্দুর হয়ে নামবেন প্রচার ময়দানে৷ সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ৷
আরও পড়ুন- হুমায়ুন কবীর Vs ভারতীয় ঘোষ: ডেবরায় মুখোমুখি দুই প্রাক্তন IPS!
কিন্তু তৃণমূলে থেকে কী ভাবে প্রচারে নামবেন তিনি? তার উপর যখন নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শিশির অধিকারীর কথায়, ‘‘নন্দীগ্রাম থেকে লড়তে এসে ভুল করেছেন উনি৷ ভোটের ফল রায় পক্ষে যাবে না৷ এখানে বিপুল ভোটে জয়ী হবে শুভেন্দু৷’’ শিশিরবাবু বলেন, শুভেন্দু মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র৷ মানুষ ওঁর পাশে দাঁড়বেই৷ আমার প্রচারে যাওয়ার প্রয়োজন হয়তো হবে না৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি যেতে হয়, আমি নিশ্চিত ভাবে যাব৷’’
সম্প্রতি চোখে ছানি অপারেশন হয়েছিল শিশির অধিকারীর৷ বেশ কিছুদিন তিনি বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না৷ ছেলেরাও তাঁকে প্রচারে যাওয়ার কথা বলেনি৷ তবে এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ৷ তাই দরকার হলে তিনিও ঝাঁপাবেন শুভেন্দু হয়ে৷ বিরোধী দল হলেও ছেলের হয়ে বাবার প্রচারে কোনও দ্বিধা নেই, বলেন শিশিরবাবু৷ তাছাড়া তৃণমূলের সঙ্গে তার দূরত্ব অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে৷ সরকারি পদ থেকেও তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে৷
শিশিরবাবু বলেন, ২০০৬ সাল থেকে দলটাকে আগলে রেখেছি৷ নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনে অধিকারী পরিবারের ভূমিকার কথা এখানকার মানুষ জানে৷ আমাকে, আমার পরিবারকে অপমান করলে তাঁর জবাব দেবে মেদিনীপুরের মানুষ৷ মেদিনীপুরের মানুষ কি ভূমিপুত্রের পাশে দাঁড়াবে না? তাহলে বলতে হবে মেদিনীপুরের মানুষের আত্মসম্মান বোধ রসাতলে চলে গিয়েছে!’’
আরও পড়ুন- প্রার্থী ঘোষণা বিজেপি’র, হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে সম্মুখ সমরে মমতা-শুভেন্দু
এদিকে শুভেন্দু বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার পর গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তাঁর এক ভাই সৌম্যেন্দু৷ অপর ভাই দিব্যেন্দু তৃণমূলে থাকলেও দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ৷ বরং তিনি বিজেপি’র অনেক কাছে এসে গিয়েছেন৷ তাঁর কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এরই মধ্যে জোড় জল্পনা একই সঙ্গে বিজেপি’তে যোগ দিতি চলেছেন শিশির অধিকাকী ও দিব্যেন্দু অধিকারী৷ সেই জল্পনায় জল ঢেলে অবশ্য শিশিরবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখনও তৃণমূলেই আছেন৷ তবে একুশের ভোটে তিনি থাকবেন ছেলের পাশে৷