নন্দীগ্রাম: শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অধিকারী পরিবারকে ক্রমাগত আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি নন্দীগ্রামের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঙুল তুলেছেন সেই শুভেন্দু এবং শিশিরের দিকেই। সেই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে একেবারেই বিলম্বিত নন সদ্য পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া শিশির অধিকারী। তিনি বলছেন, হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের অভিযোগ করছেন।
শিশির অধিকারীর বক্তব্য, যে পুলিশ অফিসাররা সেইদিন নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিল তাদের বড় বড় পোস্ট দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনের গোটা ঘটনার ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন তিনি। এখন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার পর তিনি নির্বাচনে হেরে যাবেন বুঝতে পেরে এসব অভিযোগ করছেন। শিশির আরও জানিয়েছেন, তিনি এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করবেন। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম কটাক্ষ করে শিশির দাবি করেছেন, তৃণমূল সুপ্রিমোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, তাঁর দল থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিজেপিতে গেছেন নন্দীগ্রামের যেই দুই হেভিওয়েট নেতা বাস্তবে নাকি সেই শুভেন্দু অধিকারী আর শিশির অধিকারীর অনুমতিতেই পুলিশ ঢুকেছিল ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামে, নিজের কেন্দ্র থেকে দলীয় জনসভায় বসে এমনটাই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- “ভোটের পর সরকার চালাবো দিলীপ ঘোষ আর আমি”, শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা দিলেন কুনালও
যদি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নন্দীগ্রামের প্রভাবশালী অধিকারী পরিবারের নাড়া কলকাঠিতেই কলঙ্কিত সেই দিনে পুলিশ ঢুকে থাকে নন্দীগ্রামে, তবে আদতে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের উপর আসা আরোপ মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘোষণার পর এমনটাই দাবি উঠেছে লাল শিবিরের তরফ থেকে। সেসময় যাঁরা এই মিথ্যা প্ররোচনায় সায় দিয়ে বাম সরকারের বদনাম করেছিলেন, আজ প্রকাশ্যে তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি করেছে বামেরা। তৃণমূল বিজেপির দ্বন্দ্ব, আর তার মাঝে বামেদের এই সমালোচনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে ভোটমুখী বাংলায়।