বিষাদের সুরে নিরবে বিদায় মায়ের, হল না সিঁদুর খেলা-মাতৃ বরণ

বিষাদের সুরে নিরবে বিদায় মায়ের, হল না সিঁদুর খেলা-মাতৃ বরণ

কলকাতা: আজ আকাশে-বাতাসে বিদায়ের সুর৷ মায়ের বিদায় নেওয়ার পালা৷ দেখতে দেখতে পুজো শেষ৷ তবে করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর এই চার দিন অধিকাংশ মানুষেরই কেটেছে ঘরবন্দি হয়ে৷ করোনা কাটায় শারদোৎসবের রং হয়েছে ফিকে৷ হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি মণ্ডপে ঝুলেছে ‘নো-এন্ট্রি’ বোর্ড৷ মায়ের দর্শন মিলেছে দূর থেকে৷ আজ বিজয়াও হল ভিন্ন স্বাদে৷ আচার অনুষ্ঠানে পার্থক্য না ঘটলেও, উৎসবের জোয়ারে ঘটল ছন্দপতন৷  

আরও পড়ুন- কেমন আছেন ‘ফেলুদা’? বাড়ছে চিন্তা, আন্তর্জাতিক পরামর্শের প্রস্তুতি হাসপাতালের

এই দিনেই পিতৃগৃহ ছেড়ে দেবী পাড়ি দেন কৈলাসের পথে। এই দিনেই তাই দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পালিত হয় বিজয়া দশমী৷ কোথাও আবার এই উৎসব পালিত হয় দশেরা নামে৷ হয় রাবণ বধ৷ বাঙালির কাছে বিজয়া মানেই দেবী বরণ, সিঁদুর খেলা আর সবশেষে মিষ্টি মুখ৷ কিন্তু এবার যে আর মাকে বরণ করা হল না৷ হল না মণ্ডপে দাঁড়িয়ে সিঁদুর খেলা৷ এমনকী কোলাকুলিতেও এবার ‘না’৷ সকলেই বলছে, বিপদ এড়াতে এবার কোলাকুলিও হোক ভার্চুয়ালি৷ আজ সকাল সকালই বহু মণ্ডপে শুরু হয়ে যায় বিসর্জনের পালা৷ বিসর্জনের উদ্দেশে রওনা হয় মাতৃ প্রতিমা৷ ঢাক বাজলেও, সকলে মিলে হই হই করে সেই তালে কোমর দোলানোর ছবি এবার দেখা গেল না৷ চারিদিকে যেন বিষাদের ছিল৷ 

করোনা সংক্রমণ এড়াতে এই বছর কার্নিভ্যাল করা হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছিল৷ জেলায় জেলায় প্রসেশনের পালাও নেই৷ এবার প্রতিমা দর্শনও হয়েছে ভার্চুয়ালি৷ এখন শুধু একটাই প্রার্থনা, করোনার যেন বিনাশ হয়৷ আসছে বছর চেনা রূপেই ফিরে আসুক মা৷ মহাসমারোহে পালিত হোক বাঙালির সেরা দুর্গোৎসব৷ 

আরও পড়ুুন- বাংলায় ঢুকছে উত্তুরে হাওয়া, উমার বিদায়ে শীতের আগমন? বলছে হাওয়া অফিস

প্যান্ডেমিক পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে দশমীতে মাকে বরণ করার সুযোগ পয়েছেন শুধুমাত্র পুজো কমিটির সদস্যরাই৷ মণ্ডপে প্রবেশের অধিকার ছিল একমাত্র তাঁদেরই৷  দশমীর দিন প্রতিমাকে সিঁদুর-সহ অন্যান্য উপাচার দিয়ে বরণ করেন পুজো উদ্যোক্তারা। শুরু হয় মন খারাপের পালা৷ সব শেষে মা বিদায় নেন নিরবেই৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 16 =