কলকাতা: এই মুহূর্তে ফেলুদার স্নায়বিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎলকরা। তবে এত তাড়াতাড়ি তাঁরা হাল ছাড়তে মোটেই রাজি নন। তাঁরা আশা রাখছেন অত্যন্ত জলদি সুস্থ হয়ে উঠবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বেলভিউ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, সংকট এখনও পুরোপুরি কাটেনি। মাঝে মাঝেই অক্সিজেন লেভেল ও রক্তচাপ বাড়ছে কমছে বলে জানা গিয়েছে।
এরই মধ্যে চিন্তা বাড়িয়েছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে বেশ খানিকটা বিপদ কাটিয়ে ওঠেন প্রবীণ এই অভিনেতা। তবে শুক্রবার ফের তাঁর স্নায়বিক সমস্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। জানা গেছে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে চলেছেন বেলভিউয়ের চিকিৎসকেরা। সৌমিত্রর স্নায়বিক সমস্যা মদাধানের জন্য চিকিৎসকেরা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। তবে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁরা আন্তর্জাতিক সাহায্যও নিতে চাইছেন।
হাসপাতাল জানাচ্ছে, কিংব,দন্তী এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থা কিছুটা হলেও স্থিতিশীল। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। ধরা পড়ে রক্তচাপ এবং অক্সিজেনজনিত সমস্যা। তবে শিগগিরই তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন তিনি। চিকিৎসকেরা নতুন করে কিছু তাঁর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে চান। কোভিড ১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর অনেক রোগীর শরীরেই ‘অটোইমিউন এনসেফ্যালাইটিস’ ধরা পড়ে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও আপাতত সেই রোগেই আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালসূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমিত্র আচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসকদের কথাতেও কখনও কখনও সাড়া দিতে পারছেন না তিনি।
৬ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি তিনি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। ১১ অক্টোবর দুবার তাঁর শরীরে প্লাজমা থেরাপি করানো হয়। এর পর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারাক্ষণই খোঁজ রাখছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। একটি ডকু ফিচার শ্যুটিং করছিলেন সৌমিত্র। সেই সময়ই করোনা আক্রান্ত হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর COPD রয়েছে।