কলকাতা: এর আগে তালিকা প্রকাশ করে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটলো না। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এদিকে বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে অস্বস্তি দেখা দিচ্ছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা গিয়েছে চৌরঙ্গীতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র! কিছুদিন আগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি, তবে তিনি কংগ্রেস ছাড়বেন বা বিজেপিতে আসবেন এ ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেননি। কিন্তু আজ তাকে প্রার্থী করা হয়েছে দেখে তিনি সটান জানালেন, “আমি ভোটে দাঁড়াবো না”।
এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে শিখা মিত্র জানিয়েছেন, কেউ বা কারা বিজেপিকে ভুল খবর দিয়েছে। বিজেপিতে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি কখনোই ভাবেনি আর প্রার্থী হওয়া তো দূরের কথা। তাই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে তিনি লড়বেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিখা মিত্র। তাঁর বক্তব্য, তিনি এবং তাঁর পরিবার মূলত কংগ্রেস ঘরানার। একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু বিজেপিতে যাওয়ার কথা তিনি ভাবতে পারেন না কারণ কংগ্রেস এবং বিজেপির মতাদর্শ সম্পূর্ণভাবে আলাদা এবং বিপরীত। কে দলবদল করছে আর বিজেপিতে যাচ্ছে সে ব্যাপারে তিনি মাথা ঘামান না। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যাবেন না বলে স্পষ্ট করেছেন। শিখা মিত্রর এই বক্তব্যের স্বাভাবিকভাবে আবারো ব্যাপকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। তবে বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় তৃণমূল বিধায়ক মালা সাহার স্বামী তরুণ সাহাকে বিজেপি প্রার্থী করার পরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনিও স্পষ্ট বলেছেন, বিজেপিতে যোগ দেননি। বিজেপি হয়তো অন্য কোন তরুণ সাহার নাম বলেছে। এই ঘটনায় বিজেপিকে এক হাত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
আরও পড়ুন- কফি হাউজে ঢুকেও গুণ্ডাগিরি করছে বিজেপি’র বহিরাগত গুণ্ডারা, হুঙ্কার মমতার
অন্যদিকে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরে আজ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদহ থেকে জগদ্দল, জলপাইগুড়ি সদর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর, জায়গায় জায়গায় পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে এবং বিজেপির পতাকা থেকে শুরু করে ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি যাদের প্রার্থী করেছে তাদের পছন্দ নয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের। সেই কারণেই ব্যাপক অসন্তোষ তাদের মধ্যে। পার্টি অফিসের মধ্যে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর থেকে শুরু করে বিজেপির পতাকা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া, এদিকে বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা রাস্তায় বেরিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।