কলকাতা: জোট নিয়ে ফের সুর চড়ালেন আব্বাস সিদ্দিকি। বাম-কংগ্রেসকে এবার চরম সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারির আগে আসন রফা করতে হবে। সেই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দিলেন, দাবি না মানলে তিনি জোটে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে, ‘মিম’-এ সুর নরম আব্বাসের৷ মিমের সঙ্গে তাঁরা কোনও ভাবেই বিরোধিতায় যাবে না, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আব্বাস৷
আরও পড়ুন- ‘ত্রিপুরার উন্নয়নের কথা বললে দিদি বাইরে বেরোতে পারবেন না’, মমতাকে কটাক্ষ বিপ্লব দেবের
আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে প্রথম থেকেই জোট করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাম-কংগ্রেস। তাদের মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এখনও আসন নিয়ে রফা সূত্র মেলেনি। বরং জোট প্রসঙ্গে বরাবরই আইএসএফ-এর তরফে স্নায়ুর চাপ রাখা হচ্ছে৷ সেই চাপ বজায় রেখেই আরও একবার জোটের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলেন আব্বাস৷ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে ফেলতা চায় বামেরাও৷ কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কংগ্রসকে উদ্দেশ্য করেই এই সময়সীমান বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত জোট নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তাতে একটা বা দুটি আসন ছাড়া বামেদের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির বিশেষ মতভেদ দেখা যায়নি৷ অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে আসন রফা হলেও উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা করে উঠতে পারেনি আইএসএফ৷ ফলে কংগ্রেসের উপর চাপ দিতেই এই হুঙ্কার বলে মনে করা হচ্ছে৷
ভাঙর হোক বা আমডাঙ্গা, দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই৷ দুই-একটি আসন নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গ নিয়ে আইএসএফ-এর সঙ্গে কোনও আলোচনাতেই যেতে চায় না কংগ্রেস৷ মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত৷ এদিকে এই জায়গাগুলিতে আসন দাবি করেছে আইআসএফ৷ ফলে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কী ভাবে সমাধানসূত্র বেরবে, সেদিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের৷
আরও পড়ুন- ২ ঘন্টা পর রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে ঢুকতে পারল পুলিশ! চলছে তল্লাশি
জানা গিয়েছে আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য আসন রফার জন্য অনেকটাই চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু অধীর চৌধুরী এই জেলায় কংগ্রেসেরর আসন কোনও ভাবেই ছাড়তে নারাজ৷ ফলে আদৌ এই আসনগুলি নিয়ে রফা হবে কিনা, সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে৷ এই জেলাগুলিতে প্রার্থী দিতে মরিয়া কংগ্রেস৷
অন্যদিকে, মিমের সঙ্গে কোনও ভাবেই বিরোধিতা করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি৷ বন্ধুত্ব হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত হয়নি ঠিকই তবে বিরোধিতা যে করা হবে না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আব্বাস৷