কলকাতা: বামেদের ডাকা ধর্মঘটের দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে এক শিক্ষককে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, সেই শিক্ষক আদতে মৃত। তাই এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এমন ‘কাঁচা’ কাজ কী ভাবে করা হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নিজেদের সাফাইয়ে অন্য যুক্তি দিয়েছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন- বেতন, সামাজিক সুরক্ষা নেই! ধর্নামঞ্চে অসুস্থ এক আন্দোলনকারী, সরকারকে হুঁশিয়ারি NSQF-এর
বিষয় হল, ধর্মঘটের দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে শোকজের চিঠি গিয়েছে ২০১৯ সালে মৃত এক শিক্ষকের নামে। তিনি আদিসপ্তগ্রামের এক হাইস্কুলের শিক্ষক সুকুমার গোস্বামী। এই চিঠি আসার পরে জেলাজুড়েই আলোড়ন কারণ জানা গিয়েছে, সুকুমার প্রয়াত তো বটেই, অবসরও নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। তাহলে কী ভাবে তাঁর নামে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠানো এই চিঠি এল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক সংগঠন এসটিইএ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সুপারিশে সুজনের স্ত্রীর চাকরি? শুরু রাজনৈতিক লড়াই! TMC’s allegation against Sujan Chakraborty’s wife” width=”560″>
গোটা বিষয় নিয়ে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষের বক্তব্য, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উগ্র বাসনারই প্রতিফলন এটি। আসলে সরকার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। তবে, এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই চিঠি গিয়েছে। তাই কোন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন, পর্ষদের পক্ষে আলাদা করে তা জানা সম্ভব নয়।