৪ বছর পর মুখোমুখি শোভন-রত্না, আজও স্বামীর জন্য দরজা খোলা, বললেন বেহালার বিধায়ক

৪ বছর পর মুখোমুখি শোভন-রত্না, আজও স্বামীর জন্য দরজা খোলা, বললেন বেহালার বিধায়ক

কলকাতা: দীর্ঘ দিন পর ফের মুখোমুখি শোভন-রত্না৷ আদালতের বাইরে দেখা হল তাঁদের৷ সোমবার সকালে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ এর পরেই দেখা করতে যান স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ দু’জনের মধ্যে কথাও হয়৷ 

আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী মীরাদেবী

এদিন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের বিচ্ছেদের মামলা চলছে৷ কিন্তু ২২ বছর ঘর করেছি৷ এখনও আমি আইনত ওঁর স্ত্রী৷ আমাদের দুটি সন্তান আছে৷ ফলে মনের কোনে সুতোর একটা টান থেকেই যায়৷ শোভনবাবুর মনে কী আছে, আমাদের সম্পর্কে কী ভাবছেন, সে সকল ভাবার জায়গা আমার ছিল না৷ আমার মনে হয়েছিল সিবিআই এভাবে একজনকে তুলে নিয়ে এসেছে৷ একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত৷ আমার বিপদে স্বামী বা সন্তানকে পাশে দাঁড়াতে দেখলে মনের বল একটু হলেও বাড়ত৷’’ রত্না জানান, ছেলেকে নিয়ে যখন পৌঁছন, তখন সেখানে শোভনবাবু ছিলেন৷ তিনি মনে করেন, কোনও মানুষের মন যতই কঠিন হোক, এই পরিস্থিতিতে তা একটু হলেও গলবে৷ তাঁদের মধ্যে কথা হলেও, বিশেষ কোনও কথা হয়নি বলেও জানান রত্না৷ 

রত্না আরও বলেন, ‘‘বিজেপি বরাবরই ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে৷ গ্রেফতার হতে পারেন বলে শোভনবাবুর একটা ভয় ছিলই৷ তবে বাড়ি ছাড়ার পর গতকাল পর্যন্ত উনি যা যা করেছেন, সব ভুল৷ ওঁনার থেকে অনেক কম বুদ্ধি নিয়ে আমি রাজনীতি করছি৷ আর বুদ্ধিমান হয়ে প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত উনি ভুল নিচ্ছেন৷’’ তবে রত্নার স্বীকারোক্তি, ‘‘বাড়িটা ওঁর৷ ওটা ওঁর পৈতৃক সম্পত্তি৷ শ্বশুর বাড়িতে মেয়েরা যে অধিকারে থাকে সেই অধিকারেই আছি৷ যতদিন না বিচ্ছেদ হচ্ছে থাকাব৷ তবে তাঁর কথায়, ‘‘আশা করি বিভোর্সটা হবেও না৷ কারণ আমি এ জীবনে ডিভোর্স দেব না৷’’ রত্নার কাছে শোভনবাবুর জন্য ২৪ ঘণ্টা দরজা খোলা রয়েছে৷ তিনি বলেন, ওঁনার বাড়িতে উনি যখন ইচ্ছা আসতে পারেন৷ 

আরও পড়ুন- ‘দয়া করে কেউ আদালতে যাবেন না’, জামিনের শুনানির আগে আর্জি ফিরহাদ-কন্যার

এদিকে প্রেসিডেন্সি থেকে এসএসকেএম সর্বক্ষণ বাবার ছায়াসঙ্গী হয়ে থেকেছে ছেলে ঋষি৷ তিনি বলেন, চার বছর পর বাবার সঙ্গে ভালো করে দেখা হল৷ শেষ দিন পর্যন্ত উনিই আমার বাবা থাকবে৷ আমরা চেষ্টা করছি কী ভাবে এই সমস্যা থেকে ওঁনাকে বার করে আনা যায়৷ তবে উল্লেখ্য বিষয় হল ছেলের পাশাপাশি সারাক্ষণ ছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ রত্না ও বৈশাখী মুখোমুখি না হলেও দু’জনের প্রার্থনাই এখন এক, শোভনের মুক্তি৷      
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 3 =