কলকাতা: ঝালদা পুরসভা নিয়ে বিতর্ক এবং ডামাডোল কিছুতেই কাটছে না। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেখানে ধাক্কা খেল তারা। কারণ ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই।
আগের এক মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত মহকুমা শাসকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেন। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতে আজ ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
আরও পড়ুন- শব্দ দূষণ নিয়ে কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে উত্তর চাইল হাইকোর্ট
কয়েক দিন আগেই পুরপ্রধান হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের নির্দেশে তাঁর কাউন্সিলর পদই খারিজ হয়ে যায়। শীলাকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু তিনিও পদে টিকতে পারেননি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কারণেই। এদিনও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা! Justice Gangopadhyay recites Tagore’s poem” width=”560″>
যদিও এদিন সপ্তাংশু বসু, তৃণমূলের কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারের আইনজীবী হাইকোর্টে জানান, নির্বাচনের মাধ্যমে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কাগজ তৈরি হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় যে রাজনৈতিক দল থেকে তিনি নির্বাচন জিতেছিলেন সেই দল তাঁকে কাউন্সিলর পদ থেকে বহিস্কার করে। তাই তাঁকে চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি। আর রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী জানান, চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে সমস্যা থাকলে ওই বোর্ডের যে কোনও একজন ওই দায়িত্ব সাময়িক ভাবে চালাতেই পারেন। আদালতের এক্তিয়ার নেই কাউকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করার। পৌরসভায় নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে। এদিকে ঝালদা পুরসভার অস্থায়ী চেয়ারম্যান পূর্ণিমা কান্দুর পক্ষের আইনজীবীর দাবি, শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত এবং শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টাও কাটেনি, তার আগেই তাঁকে বেআইনি ভাবেই ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।