কলকাতা: বোলপুরের সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এখনই সিএএ কার্যকর করার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। আপাতত করোনা পরিস্থিতির উপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র৷ অমিত শাহের এই বক্তব্যের পর থেকেই সিএএ কার্যকর হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ আর এতেই ক্ষুদ্ধ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি৷ তাঁর দাবি, সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও আপোস করা চলবে না৷ এমনকী দ্রুত সিএএ কার্যকর করার দাবিতে সরব হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলে সুজাতা, সাংসদ-স্ত্রীর দলবদল নিয়ে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
এদিকে বেশ কিছু দিন ধরেই সিএএ নিয়ে বিজেপি’র উপর চাপ বাড়াচ্ছেন মতুয়ারা৷ বিজেপি’র বক্তব্য, সিএএ-র বিধি তৈরির কাজ চলছে৷ এখনও কিছুটা সময় লাগবে৷ এছাড়াও এখনও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়৷ টিকা চলে এলে, পরিস্থিতি সামলে উঠলেই শুরু হবে সিএএ কর্মসূচি৷ কিন্তু এই বক্তব্যে খুশি নন শান্তনু৷ তাঁর বক্তব্য, অমিত শাহ মতুয়াদের সামনে এসে এই কথা বলুক৷ তাঁর মতে, ‘‘দেশের জন্য করোনা যতটা বড় সমস্যা, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ সিএএ আইন৷’’
গত সপ্তাহে সিএএ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ কিন্তু অমিত শাহের কথায় সে আশায় জল পড়ে৷ বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত বড় অভিযান চালানো সম্ভব নয়৷ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে এই বিষয়ে ভাবব৷ এর পরেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ৷ প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেও নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ প্রয়োগে বিলম্ব নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর।
আরও পড়ুন- সাম্প্রদায়িক দলে যোগ, শহিদের মা নিন্দা করেছেন শুভেন্দুর, আক্রমণ সৌগতের
অমিত শাহের এই মন্তব্যের পর ক্ষোভের সঞ্চার হয় মতুয়া সমাজের মধ্যে৷ শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন সেটা একান্তই তাঁর মতামত। সিএএ কবে কার্যকর হবে সেটা আমরা ঠিক করতে পারব না। সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। এর ভালোমন্দ কেন্দ্রই বুঝবে। তবে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে আমি কোনও আপোসে রাজি নই।’
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে হালকা চিড় ধরেছে৷ দলীয় কর্মসূচিতে বিশেষ ভাবে তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ছে না৷ কয়েক দিন আগেই তাঁর জেলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী৷ সেখানেও যাননি শান্তনু ঠাকুর৷ এই সুযোগে বিজেপি’র ঘর ভাঙতে মরিয়া তৃণমূল৷ মতুয়াদের স্বার্থে তাঁর জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা৷