কলকাতা: দলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উপর তৃণমূলের হামলায় ধুন্ধুমার কাণ্ড হেস্টিংসে৷ এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট পাঠালেন বাংলার বিজেপি’র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ অভিযোগ, শনিবার হেস্টিংসে বিজেপি’র নির্বাচনী কার্যালয়ে আসার সময় সুনীল মণ্ডলের গাড়ির উপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা৷ যদিও হামলার দায় এড়িয়ে তণমূলের পাল্টা দাবি, নিজেরাই অশান্তি বাঁধিয়েছে বিজেপি৷ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ লিখিত রিপোর্ট তলব করেছেন অমিত শাহ৷
আরও পড়ুন- সুনীলকে ‘আক্রমণ’, অমিত শাহকে চিঠি কৈলাশের, অভিযুক্ত তৃণমূল
হেস্টিংসের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ তিনি বলনে, গণতান্ত্রিক দেশে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হোক বা কোনও রাজনৈতিক কর্মী, নিজের অবস্থান বদলের অধিকার রয়েছে৷ কিন্তু এর জন্য কারও উপর হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না৷ তৃণমূল হাস্যকর ভাবে এই ঘটনার দায় এড়াচ্ছে বলেও তোপ দাগেন তিনি৷
শমীকবাবু বলেন, এদিন হামলার সময় তৃণমূলের নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হল, ফিরহাদ হাকিমারে নামে স্লোগান দেওয়া হল, তাঁর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করা হল, এর পরেও বলা হচ্ছে তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়৷ ফিরহাদ হাকিমকে একহাত নিয়ে বলেন, আক্রমণকারীরা ওঁর সঙ্গে থাকার বার্তা দিচ্ছে৷ আর উনি এসব কিছুই জানেন না? এই সমস্ত বক্তব্য হাস্যকর৷
আরও পড়ুন- পুলিশ নপুংসক, সত্যিই মারলে ব্যান্ডেজ বাঁধার জায়গা থাকবে না! দিলীপ উবাচ
তোপ দেবে শমীকবাবু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই৷ নতুন কোনও ব্যাখ্যা নেই৷ কোনও বার্তা নেই৷ দু’চারজন নেতাকে নিয়ে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের দেখা উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূল স্তর এই মুহূর্তে কোন জায়গায় আছে৷ সেখানে ধস নেমে গিয়েছে৷ দুয়ারে সরকার প্রকল্প ব্যর্থ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তৃণমূল স্তর থেকে সরে গিয়েছে৷
তাঁর দাবি, তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই মানুষ তাঁদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে৷ গলায় প্ল্যকার্ড ঝুলিয়ে দলিত সাজা যায় না৷ প্রধানমন্ত্রীর চুল দাঁড়ি নিয়ে কথা বলছে তৃণমূল৷ তবে কি ওরা এবার সেলুন খুলবে?