সুনীলকে ‘আক্রমণ’, অমিত শাহকে চিঠি কৈলাশের, অভিযুক্ত তৃণমূল

বিজেপির দপ্তরে সুনীলের গাড়ি আসার আগেই তাকে বাধা দেওয়া হয় এবং কালোপতাকা দেখানো হয়।

কলকাতা: হেস্টিংসের তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বিক্ষোভ সভা চলাকালীন সেখানে প্রবল গন্ডগোল বাঁধে। আসলে এদিন দুপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সহ সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া একাধিক নেতা যাদের মধ্যে সুনীল মণ্ডল ছিলেন, তাদের হেস্টিংসের দফতরে আসার কথা ছিল। বিজেপির দপ্তরে সুনীলের গাড়ি আসার আগেই তাকে বাধা দেওয়া হয় এবং কালোপতাকা দেখানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, সুনীলের গাড়িতে ‘হামলা’ চালিয়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। একইসঙ্গে দুজনের মধ্যে ফোনেও কথা হয়।

সূত্রের খবর, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কৈলাস বিজয়বর্গীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, বাংলার আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটেছে তা সেটারই প্রমাণ দেয়। আজকের সুনীল মণ্ডলের উপর হামলার সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ওপর আক্রমণের ঘটনাও সংযোগ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মূলত এই দুটি ঘটনাকে একই সূত্রে বেঁধে বঙ্গ বিজেপি দেখাতে চাইছে বাংলায় কতটা আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং পরিস্থিতি কতটা সঙ্গীন। একই সঙ্গে এও বলা হচ্ছে যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ দিকে যেতে চলেছে। একে একে পর পর যে রকম ঘটনা ঘটছে তা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। 

হেস্টিংসের আজকের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি মৌখিক যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। বিজেপি তরফে একের পর এক নেতা দাবি করছেন, বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন এই রকম হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি এখন লজ্জা পান এটা ভেবে যে এতবছর ধরে তৃণমূল দলে ছিলেন। অন্যদিকে আজকের ঘটনা ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়। অন্যদিকে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সুনীল মণ্ডল এমন নেতা যাকে এত পাত্তাই দেওয়া হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − five =