কলকাতা: করোনা আবহে বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এ রাজ্যের বাজি ব্যবসায়ীরা। সোমবার এই মামলার শুনানি হওযার কথা ছিল সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি অজয় রাস্তগীরের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি। ৩ টের সময় শুনানি হবে৷
আরও পড়ুন- লিলুয়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করেব বোমা, ইটবৃষ্টি
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ সবরকম বাজি নিষিদ্ধ করে৷ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছিল, যে কোনও ধরণের বাজির ব্যবহার, প্রদর্শন, ফাটানো বন্ধ করার বিষয়টি রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন কালীপুজো, দেওয়ালির পাশাপাশি ছট পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, গুরু নানকের জন্মদিন, খ্রীষ্টমাস এবং নববর্ষ উদযাপন পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ বান্ধব গ্রিন ক্র্যাকার্স বা সবুজ বাজি পোড়ানোর উপর ছাড় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ কালীপুজোয় রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল৷ শুধু কালীপুজো নয়, একই শর্তে ছট পুজো ও বর্ষবরণেও বাজি পোড়ানোর ছাড়পত্র মিলেছিল৷ কিন্তু সবুজ বাজি কী, কী ভাবে একে চেনা যাবে তা নিয়ে আমজনতা তো বটেই ধোঁয়াশা রয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও৷ বাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হলে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউের আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো, বিক্রি করার অনুমতি দেব কীভাবে?’’ এর পরেই সব ধরনের বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷