কলকাতা: বুধবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়ত৷ মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতেরও৷ তাঁদের সঙ্গে ওই অভিশপ্ত চপারে ছিলেন অন্যান্য সেনা কর্তারাও৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাংলায় ছেলে সৎপাল রাই৷ সেনা সর্বাধিনায়কের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন দার্জিলিংয়ের তাকদার বাসিন্দা সৎপাল৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁরও৷ বুধবার দুপুরে আচমকা তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া দার্জিলিংয়ে৷
আরও পড়ুন- ফের নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা, ইনিংস শুরুর আগেই ফের ধাক্কা শীতে
সৎপালের স্ত্রী মন্দিরা রাই ও ছেলে বিক্কল রাই৷ বিক্কলও সেনাবাহিনীতে রয়েছেন৷ তাঁর পোস্টিং দিল্লিতে৷ বুধবার সকালেও বাবার সঙ্গে কথা হয় তাঁর৷ কিন্তু দুপুরে আচমকা এই দুঃসংবাদ আসে৷ দিল্লিতে ছেলের কাছেই প্রথম ফোন যায়৷ বিক্কলই পরিবারকে এই খবরটি জানান৷ সৎপালের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা পরিবারে৷ কফিনবন্দি সৎপালের দেহ ফেরার অপেক্ষায় দার্জিলিং৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘হাভিলদার সৎপাল রাইয়ের পরিবারের প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে সমবেদনা জানাই। তিনি সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতজির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (পিএসও) ছিলেন। তিনি দার্জিলিং-এর তাকদাহর বাসিন্দা। ঈশ্বর তাঁর পরিবারকে এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠার শক্তি দিক। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা।’
প্রসঙ্গত, বুধবার সুলুরের সেনা ছাউনি থেকে এমআই-১৭ কপ্টারে চেপে কুন্নুরে ওয়েলিংটনের সেনাঘাঁটির দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ সুলুর থেকে কুন্নুরের আকাশ পথে দূরত্ব বেশি নয়৷ কিন্তু ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নীলগিরির উপর ভেঙে পড়ে চপারটি। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চপারে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়৷ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত-সহ মৃত্যু হয় ১৩ জনের।