কলকাতা: জওয়াদ বিদায় নিতেই আশা জেগেছিল বঙ্গবাসীর মনে৷ আবহাওয়াবিদরাও মনে করছিলেন এবার হয়তো শীতের পথে বাধা কাটল৷ কিন্তু চলতি সপ্তাহে শীত থিতু হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখছে না আবহাওয়া দফতর৷ অথচ ভোরের আকাশ কুয়াশায় মুখ ঢেকেছে৷ কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আকাশ ছেয়েছে ঘন কুয়াশায়৷ যার জেরে ব্যহত বিমান পরিষেবা৷ ধীমে তালে চলছে ট্রেন৷
আরও পড়ুন- বার অ্যাসোসিয়েশন হাতছাড়া বিজেপির, সভাপতি অরুণাভ ঘোষ
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্ত ছিল। সেই ঘূর্ণাবর্তের টানে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গে৷ এদিকে রাতে তাপমাত্রা কম থাকছে৷ ফলে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকা জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে কুয়াশা সৃষ্টি করেছে। অনেকে আবার বলছে কলকাতার প্রবল দূষণই ঘন কুয়াশার জন্য দায়ী৷ তাছাড়া বঙ্গোপসাগরে ফের একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার সৃষ্টি হয়েছে৷ যার জেরে ধাক্কা খাচ্ছে শীত৷
পরিবেশবিদদের একাংশ বলছে, শীত জাঁকিয়ে বসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে কুয়াশার দাপট। তার সঙ্গে দূষণ বাড়তে থাকলে ধোঁয়াশার দাপটও বাড়বে৷ সাধারণত কুয়াশা রোদ ওঠার পরেই গায়েব হয়ে যায়। কিন্তু ধোঁয়াশার আস্তরণ সহজে কাটতে চায় না। কিন্তু শীত আসবে কবে? আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে শীত জাঁকিয়ে বসার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। নভেম্বর থেকেই দখা যাচ্ছে উত্তুরে হাওয়ার পথে বার বার বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে বঙ্গোপসাগরে ঘনিভূত ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত৷ যার জেরে হু হু করে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। এই জোলো হাওয়াই উত্তুরে হাওয়ার পথে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বাংলাদেশ এবং সন্নিহিত পশ্চিমবঙ্গের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্তটি দুর্বল হয়ে গেলেও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আরও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার সৃষ্টি হয়েছে। এই অক্ষরেখাই কিছুদিন পর নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে৷ যার প্রভাবে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে ফের জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়বে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে আকাশ মেঘলা থাকবে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও কোনও এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে৷ গণেশবাবু জানান, রাতের পারদ নামার জন্য আরও এক সপ্তাহ আপেক্ষা করতে হবে৷