কলকাতা: বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের উৎসাহ দেখা যায় না, এমনই মন্তব্য ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাটের চেয়ারম্যান অবসর গ্রহণ করার পর থেকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ হয়নি। সেই ইস্যুতেই হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নিশানা করে। তবে এবার অবশেষে জট কাটল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান নিয়োগে। অবিলম্বে প্রাক্তন বিচারপতিকে চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- শব্দ দূষণ নিয়ে কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে উত্তর চাইল হাইকোর্ট
অভিযোগ ছিল, স্যাটের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ না হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনানি করা সম্ভব হচ্ছিল না। এই কারণে মামলাকারী জাহাঙ্গীর আলী সহ বেশ কয়েকজন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে এই মামলায় তলব করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের ভূমিকা জানতে চেয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সময় কোনও সদুত্তর না পেলেও এদিনের শুনানিতে আদালত অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের মতামত জানতে চান এবং রেজিস্টার জেনারেলের কাছে রিপোর্টও তলব করেন।
আরও পড়ুন- ব্যঙ্গচিত্র মামলায় ১১ বছর পর ‘মুক্তি’, ‘গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের জয়’ বললেন অম্বিকেশ
সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অফ ফিনান্সকে নির্দেশ দেন, অতি শীঘ্র একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য তিনজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নাম প্রস্তাব করে দ্রুত নিয়োগে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর যতদিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হচ্ছে, ততদিন বর্তমানের ট্রাইবুনালের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বারকে মামলা শুনে নিষ্পত্তি করতে হবে, এমনই নির্দেশ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা! Justice Gangopadhyay recites Tagore’s poem” width=”560″>
শুক্রবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারী জাহাঙ্গীর আলী সহ ৯ জনের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, স্যাটে কোনও ডিভিশন বেঞ্চ না থাকায় সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি ঝুলে রযেছে। তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালের ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ৬(৪) ধারায় রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে করণীয় পদক্ষেপ কী আছে তার উল্লেখ আছে। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের ট্রাইবুনাল রিফর্ম অ্যাক্ট আসে। সেখানে উল্লেখ আছে সার্চ-কাম সিলেকশন কমিটি যেখানে প্রত্যেক রাজ্যের প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে কী ভাবে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ হবে। তারপরেও কিছু পদক্ষেপ হয়নি।