কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক রহস্যের উন্মোচন করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতার হয়েছেন একের পর এক অভিযুক্ত৷ এর সাম্প্রতিক সংযোজন হুগলি জেলার বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি৷ তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড৷ মিলেছে চাকরির বেশ কিছু সুপারিশ পত্রও৷ শান্তনুর সুপারিশে একাধিক অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন- ‘চুঁচুড়ার বিধায়কও অনেককে চাকরি দিয়েছেন..’, বোমা ফাটালেন লকেট
শান্তনুর আগে ইডির জালে ধরা পড়েন হুগলিরই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ৷ মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কুন্তলের বিরুদ্ধেও৷ তার আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁদের সকলেই জেরা করেছে ইডি। জেরায় ইডি-র আধিকারিকরা জানতে পারেন কী ভাবে কুন্তল, শান্তনুরা মোটা চাকার বিনিময়ে সরাসরি চাকরির সুপারিশ পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। সেই সুপারিশ অনুসারে বেশ কয়েক জনের চাকরিও হয়েছিল বলে ইডি-র দাবি৷
ইডি জানতে পেরেছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চাকরির সুপারিশ পত্র পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। কুন্তল, শান্তনুকে জেরা এমনই তথ্য উঠে এসেছে ইডি-র হাতে। টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনতে চাওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথা পিছু কত টাকা নেওয়া হত, সেই তথ্যই উঠে এসেছে ইডির কাছে৷ জানা গিয়েছে, প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারির জন্য মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স বা অগ্রিম নেওয়া হত৷ সংগঠক শিক্ষকদের জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হত, তাও শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের জন্য।
শুক্রবার গ্রেফতারির পর থেকেই শান্তনুকে জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কুন্তল ঘোষ ও মানিক ভট্টাচার্যকেও জেরা করেছেন ইডি-র অফিসাররা। জেরায় ইডি জানতে পেরেছে, চাকরির জন্য ৩০০ জনের নামের তালিকা সুপারিশ করেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুপারিশ মেনেই ১০ জনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য৷ তেমনটাই দাবি ইডি সূত্রে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>