‘আপনি সবসময় ঘেমে থাকেন কেন…?’ উদ্ভট প্রশ্নের মোক্ষম জবাব দিলেন সায়নী

‘আপনি সবসময় ঘেমে থাকেন কেন…?’ উদ্ভট প্রশ্নের মোক্ষম জবাব দিলেন সায়নী

কলকাতা:  অভিনয় জগত থেকে রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখা সায়নী ঘোষকে আসানসোল দক্ষিণে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল৷ কড়া টক্কর দিয়েও শেষমেষ জিততে পারেননি তিনি৷ কিন্তু তাতে কী! আর পাঁচজন তারকার মতো ভোটের পর নিজেকে গুটিয়ে রাখেননি সায়নী৷ হেরো বিজেপি প্রার্থীরা যখন রাজনীতি থেকে একপ্রকার উধাও হয়ে গিয়েছেন, তখন নিজের জায়গা আরও শক্ত করেছেন তিনি৷ বলা ভালো, তিনি এখন পুরোদস্তুর রাজনীতির কারবারি৷ তাঁর কাঁধে গুরুদায়িত্ব সঁপেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া পদ সামলাচ্ছেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের স্বস্তি! বাড়ল রক্ষাকবচের মেয়াদ

ভোটে হেরেও নিজের জনপ্রিয়তায় আঁচ আসতে দেননি সায়নী৷ ত্রিপুরা দখলের লড়াইয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে তৃণমূলের যুবনেত্রীকে৷ রাজনীতিতে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলা সেই সায়নীকেই উদ্ভট প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল এবার৷ বিষয়টা হল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে গলদঘর্ম অবস্থায় দেখা যায় সায়নীকে৷ মাথার উপর একই স্টাইলে রাখা রোদ চশমা৷ গায়ে সবুজ সালোয়ার৷ গলায় তৃণমূলের প্রতীক লাগানো উত্তরীয়৷ ছবির ক্যাপশনে সায়নী লিখেছেন ‘উত্তোলন’ (Levitating..)৷ সেই ছবি দেখেই এক নেটিজেনের প্রশ্ন, ‘আপনি সব সময় ঘেমে থাকেন কেন..?’ 

আরও পড়ুন- মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার সদ্য বিবাহিত গৃহবধূ, গ্রেফতার শাশুড়ি ও দেওর

সায়নীও কম জান না৷ আজব প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন সপাটে৷ তিনি বলেন, ‘বিজেপির নেতাদের মতো শুধু ভোটের আগে ভাত খেতে যাই না তাই… আমার নেত্রীর দ্বারা অনুপ্রাণিত। তৃণমূল স্তরে থেকে কাজ করি, স্ট্রিট ফাইটার’।  প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিগারেট হাতে সায়নীর একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়৷ এই ছবিটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সোচ্চার হন যুবনেত্রী৷  তাঁর কথায়, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই ধরনের প্রচুর ছবি রয়েছে৷ গুগল সার্চ করলেই সে সব বেরিয়ে আসে। এর পরেও আরও অনেক ছবি দেখা যাবে৷ সেই সঙ্গে তিনি জানান,  সহকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি যে ভালোবাসাটা পান সেটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে দামি৷ এই গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির আইটি সেলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন সায়নী ঘোষ। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *