প্রথম মহিলা ওসি পেল রেল পুলিশ, ভালোবাসা দিয়েই দায়িত্ব সামলাতে চান রুপসীনা

প্রথম মহিলা ওসি পেল রেল পুলিশ, ভালোবাসা দিয়েই দায়িত্ব সামলাতে চান রুপসীনা

কলকাতা:  রেলে নারীরা প্রাধান্য পেয়ে আসছেন বেশ কয়েক বছর ধরেই৷ চালক থেকে গার্ড বা টিকিট চেকার প্রতিটি পদেই উপস্থিতি মহিলাদের৷ এবার রেল পুলিশ (জিআরপি) পেল প্রথম মহিলা ওসি৷ এই পদে দায়িত্ব নিলেন পুলিশ অফিসার রুপসীনা পারভিন৷  শুক্রবার বনগাঁ রেল পুলিশে ওসির দায়িত্ব নিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত হাওড়া, শিয়ালদহ, শিলিগুড়ি জিআরপির কোনও থানাতেই মহিলা আধিকারিক দায়িত্ব পাননি৷ রুপসীনাই প্রথম৷

আরও পড়ুন- বিষ পান করা সেই পাঁচ শিক্ষিকা এবার তৃণমূলে, তালিকায় শিক্ষক নেতা মইদুলও

রেল পুলিশের আইজি বাসব দাশগুপ্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নারী-পুরুষ সকলেই সমান দায়িত্বশীল। দু’জনকে আলাদা করার কোনও উপায় নেই। দায়িত্ব যখন পেয়েছেন, তখন নিশ্চয় থানা পরিচালনা করতে পারবেন৷” কিন্তু কী বলছেন রুপসীনা? তিনি অবশ্য আশাবাদী। সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকায় ভালোবাসা দিয়েই দায়িত্ব সামলাতে চান তিনি৷ তিনি মনে করেন, যাত্রীদের সঙ্গে ভাল আচরণ এবং জেলা পুলিশের সহযোগিতাতে এই গুরুদায়িত্ব সামলাতে পারবেন তিনি৷ 

২০০৮ সালে পিএসসি দিয়ে এসআই হন রুপসীনা পারভীন৷ এর আগে হাওড়া এবং বারাসতে এসআই পদে দায়িত্ব সামলেছেন৷ এবার সরাসরি বনগাঁয় ওসির দায়িত্বে পেলেন৷ রুপসীনা জানান, পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছোট থেকেই ছিলই। প্রথম বছর সব কিছুতে পাশ করলেও বাধ সাধে উচ্চতা৷ সেই মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি৷ কিন্ত মনোবল হারাননি৷ শুরু হয় উচ্চতা  বাড়ানোর কসরৎ৷ পরের বছর একই পদের জন্য ফের চেষ্টা করেন। পুলিশের চাকরি করার জেদ সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হার মানায়৷ এক বছরের মধ্যে উচ্চতাও বাড়িয়ে ফেলেন৷  প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল রুপসীনা সরাসরি এসআই পদে যোগ দেন৷ 

সীমান্তবর্তী এলাকা বনগাঁ৷ ফলে কাজের চাপও একটু বেশি৷ যদিও সীমান্ত এলাকায় থানা সামলানোর জন্য বিশেষ মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন রুপসীনা৷ তিনি জানান, তাঁর পৈতৃক ভিটে এই বনগাঁতেই৷ শ্বশুরবাড়ি গেড়াপোঁতায়৷ এখন বারাসতের বাসিন্দা হলেও এক সময় বনগাঁতেই থাকতেন তিনি৷ হাবড়া চৈতন্য কলেজ থেকে স্নাতন রুপসীনা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তর পাশ করেন৷ তাঁর কাছে মানুষের সেবাই সবচেয়ে আগে৷ পরিবার আর কর্মস্থলের মধ্যেও ভেদাভেদ করেন না তিনি৷ দুটোই তাঁর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =