কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফরের ঠিক আগে গেরুয়া হলেন দীনেশ ত্রিবেদী৷ তৃণমূল ছাড়ার সময় তিনি বলেছিলেন দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ এদিন বিজেপি’তে যোগ দিয়েই তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় থেকে বাদ ৫ মন্ত্রী-সহ ২৮ বিধায়ক!
এদিন গেরুয়া হয়েই দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আজকে আমার জীবনের স্বর্ণ মুহূর্ত৷ আমি এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম৷ আজ আমি জনতার পরিবারের অংশ হলাম৷’’ সেই সঙ্গে নাম করে তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিলেন তিনি৷ এদিন দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘একটা রাজনৈতিক দলে শুধু পরিবারের সেবা করা হয়৷ সেখানে জনগণের সেবা হয় কিনা, আমার জানা নেই৷’’
তাঁর কথায়, ‘‘আমি যেখানেই থাকি না কেন, নিজের বিচারধারাকে ত্যাগ করিনি৷ আমার কাছে সবার উপরে দেশ৷ সারা জীবন সেটাই থাকবে৷’’ ভারত অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে৷ সাধারণ মানুষের এটাই বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় জনতা পার্টি দেশকে সুরক্ষিত রাখবে৷ আজ বাংলা থেকে বহু মানুষ বাইরে চলে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম৷ প্রতিবেশী থেকে পরিচিত-অপরিচিত সকলেই ফোন করে বলত, এখানে কী হচ্ছে? আপনাদের লোকজন এসে মারামারি করছে, টাকা-পয়সা চাইছে৷ একটা স্কুলের দেওয়ার তুলতে গেলেও চাঁদা দিতে হচ্ছে৷ একজন নয়, প্রতিদিন কেউ না কেউ আসছে৷ যে বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করা হয়, সেই বাংলায় আজ আতঙ্ক, হিংসা, দুর্নীতি৷ তবে আজ বাংলার মানুষ খুশি৷ তাঁরা জানে সত্যিকারের পরিবর্তন হতে চলেছে৷’’
আরও পড়ুন- বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ‘ওপেন ওয়ারেন্ট’, বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে জারি ‘লুক আউট’
এর আগে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেছিলেন, ‘‘রাজ্য হিংসায় ভরে গিয়েছে৷ সেখানে আমরা কোনও কথা বলতে পারি না৷ অন্তরাত্মার ডাকে সারা দিয়েই ইস্তফা দিচ্ছি৷ আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিল৷ কাজ করতে পারছিলাম না৷’’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান৷ গালাগালি আমাদের সংস্কৃতি নয়৷ বাংলা এই ভাবে হিংসা চলতে পারে না৷