কলকাতা: গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডা বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে ‘ওপেন ওয়ারেন্ট’ জারি করেছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। দেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ওয়ারেন্ট বা পরোয়ানা জারি করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে গা ঢাকা দেওয়া অপরাধীদের খুঁজতে হলে ইন্টারপোলের অনুমতি নিতে হয়। জারি করতে হয় রেড কর্নার নোটিস৷ আর রেড কর্নার নোটিস জারি করার আগে বিরুদ্ধে ওপেন ওয়ারেন্ট জারি করতে হয়৷
আরও পড়ুন- মনোজ তিওয়ার প্রার্থী হতেই উত্তাল শিবপুর, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ রফিকুল রহমান
এবার বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ওপেন ওয়ারেন্ট জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ শুধু গরু পাচার নয়, কয়লা পাচারের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে বিনয় মিশ্রের নাম৷ ফলে তাঁকে জেরা করলে অনেকটাই খুলে যাবে এই দুই মামলার জট৷ সিবিআই অফিসারদের অনুমান, বর্তমানে দুবাই-তে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্র৷ এদিকে পলাতক বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রও৷ গত এক মাসে ধরে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ কোনও ভাবেই বিকাশ মিশ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷ তাঁর ফোনও বন্ধ রয়েছে৷ এর আগে দু’বার জেরা করা হয়েছিল বিকাশকে৷ সেই সময় বিনয় মিশ্র প্রসঙ্গে অনেক তথ্যই দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তৃতীয়বার জেরার জন্য তাঁর যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও হদিশ মেলেনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- মোদীর ব্রিগেডে হাজির থাকতে পারেন বলিউডের খিলাড়ি! তৎপরতা তুঙ্গে
এদিকে, গরু পাচার মামলায় ফের তলব করা হয়েছে আইপিএস অফিসার অংশুমান সাহাকে৷ এর আগেও তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল৷ জানুয়ারিতে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের প্রাক্তন ডিআইজি কল্লোল গনাই ও পুলিশকর্তা তথাগত বসু-সহ ১২ জন পুলিশ অফিসারকে তলব করেছিল সিবিআই৷ সেই সময় তথাগত বসু এবং বাকি কয়েক জন পুলিশ অফিসার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন৷ তবে অংশুমান রায় ও কল্লোল গনাই সিবিআইয়ের নোটিসের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন।