কলকাতা: রসিকা আগরওয়াল জৈনের মৃত্যুর পরতে পরতে রহস্যের জাল৷ একদিকে উঠছে আত্মহত্যার দাবি৷ অন্যদিকে উঠছে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ৷ আত্মহত্যা? নাকি খুন? এই রহস্যে আটকে রসিকার মৃত্যু৷ তবে রসিকার মৃত্যুর পিছনে তাঁর স্বামী কুশল আগরওয়ালের ভূমিকা ছিল বলেই অভিযোগ৷
আরও পড়ুন- ‘পয়া’ শুক্রবারে তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ! একই দিনে বিজেপিও
২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের উমেদ ভবনে রাজকীয় ভাবে কুশল আগরওয়ালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রসিকা জৈন৷ কিন্তু জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই রসিকার উপর শারীরিক অত্যাচার চালাত কুশল৷ একবার তো রসিকাকে এমন ভাবে চর মেরেছিলেন কুশল যে, তাঁর চোখে সমস্যা দেখা দেয়৷ টাকাপয়সার জন্যও তাঁকে বারবার চাপ দেওয়া হত৷ কুশল মাদকাসক্ত ছিলেন৷ অ্যালকোহলের প্রতিও আসক্তি ছিল তাঁর৷ নেশার ঘোরে রসিকার উপর অত্যাচার চালাতেন। কিন্তু সকালে নেশার ঘোর কাটলে ক্ষমাও চাইতেন। আর সেই কারণেই নাকি রসিকা চুপ ছিলেন৷ এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর মা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর আগে বাবাকে একটি মেসেজ করেছিলেন রসিকা। সেখানে লেখেন ‘টেক কেয়ার অফ ইওর সেলফ’৷ এর কিছুক্ষণ পরেই রসিকার দেহ উদ্ধার হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রসিকা৷ কিন্তু তাঁর পরিবারের দাবি, এটা আত্মহত্যা নয়৷ খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে৷ রসিকার উপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে জানত তাঁর পরিবার৷ মেয়ের মৃত্যুর পর তাঁরা আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে৷
আরও পড়ুন- বামেদের প্রার্থী তালিকায় বড় চমক! অবশেষে নতুন মুখে গুরুত্ব!
১৬ই ফেব্রুয়ারি রসিকা পরিবার জানতে পারে, ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে তাঁদের মেয়ে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে দেখতে পাননি রসিকার মা। কুশলের বাবা জানান, দ্রুত হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে। কারণ মিডিয়া ও পুলিশ জানলে সমস্যা হবে।
রসিকার পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘‘রসিকার স্বামী কুশল আগরওয়ালের মদ্যপানের নেশা ছিল৷ পরে জানা যায় ও মাদাকাসক্ত৷ এই বিষয়টা নিয়ে রসিকা অশান্তিতে ছিল৷ আমরা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম৷ মানিয়ে নেওয়ার কথা বলতাম৷ কিন্তু এভাবে রসিকা চলে যাবে, সেটা বুঝতে পারিনি৷’’ রসিকার মৃত্যুর পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা সময়ই বলবে৷