কলকাতা: দলে থেকেও বেসুরো বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিন কয়েক আগে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি বলেছিলেন, যাঁরা যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা প্রাধান্য পান না। যাঁরা ঠান্ডা ঘরে বসে থাকেন তাঁরাই সামনের সারিতে চলে আসছেন৷ আজও নিজের অবস্থানে অনড় রইলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কামারপুকুরে ব্রাহ্মণদের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বললেন, যা বলেছি ভেবে চিন্তেই বলেছি৷ যত মত তত পথ৷ সব পথই খোলা আছে৷ তাঁক এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জল্পনা৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের তলবে না যাওয়ার ইঙ্গিত মুখ্যসচিব-ডিজিপির! কোন আইনে তলব? প্রশ্ন কল্যাণের
এদিন কলকাতাকে স্তব্ধ করে দাবি আদায়ের কথাও বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও বলেছি ব্রাহ্মণদের কিছু দাবি রয়েছে৷ সেগুলি আমরা পূরণ করব৷ কিছু দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূরণ করেছেন৷ আরও কিছু দাবি রয়েছে৷ এটা ঠিক যে সব দাবি একসঙ্গে পূরণ করা সম্ভব নয়৷ আমরা চাইছি বাকি দাবিগুলিও পূরণ করা হোক৷ এই দাবি আদায়ের জন্য যদি রাজপথে নামতে হয়, তাহলে রাজপথেই নামব৷’’ তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও পথে নেমেছি৷ রানি রাসমনি রোডে দাঁড়িয়ে মিটিং মিছিল করেছি৷ সনাতন ধর্ম ও ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের যাতে মঙ্গল হয় তার জন্য চিন্তা ভাবনা রয়েছে৷’’
আরও পড়ুন- নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে তুঙ্গে তরজা, পুলিশের ভূমিকায় নাখুশ বিজেপি বিঁধল তৃণমূলকে
এদিন ব্রাহ্মণদের অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, ‘যত মত, তত পথ’ সব পথই খোলা আছে৷ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের জল্পনা মাথা চাড়া দেয়৷ তবে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঠাকুরের কথা অনুসরণ করেই বলেছি যত মত, তত পথ৷ যত মত হবে তত পথও হবে৷ এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশে নেই৷ ঠাকুরকে স্মরণ করেই বলা৷ তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে মনের কথা বলেছি৷ সেটা সবাই শুনেছে৷ এখনও একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য৷ মন্ত্রিসভার সদস্য৷ এর বাইরে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না৷ তবে এখনও নিজের কথায় অনড়৷