কেন্দ্রের তলবে না যাওয়ার ইঙ্গিত মুখ্যসচিব-ডিজিপির! কোন আইনে তলব? প্রশ্ন কল্যাণের

কেন্দ্রের তলবে না যাওয়ার ইঙ্গিত মুখ্যসচিব-ডিজিপির! কোন আইনে তলব? প্রশ্ন কল্যাণের

নয়াদিল্লি: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷  রাজ্যপালের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ কেন আইন বলে তাঁদের তলব? প্রশ্ন ছুড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়া৷ এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা দিল্লি যেতে পারছেন না৷ কেন্দ্রের তলব থেকে অব্যাহতি চেয়ে কারণও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব৷

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লাকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে৷ রাজ্য প্রশাসন গুরুত্ব দিয়েছে হামলার তদন্ত করছে৷ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তদন্ত চলছে৷ জেপি নাড্ডার নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা ছিল৷ আধিকারিক-সহ ১৪৫ জন পুলিশ কর্মী ছিলেন তাঁর নিরাপত্তা বলয়ে৷ জেপি নাড্ডার নিরাপত্তার জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি ও পাইলট কার দেওয়া হয়েছিল৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ রাজ্য সরকার গোটা বিষয়টি নিয়ে অবগত৷ ফলে, তাঁদের দিল্লিতে উপস্থিত থাকতে অব্যাহতি দেওয়া হোক বলেও আর্জি জানানো হয়েছে৷  

স্বরাষ্ট্রসবিচকে চিঠি লিখলেন মুখ্যসচিব

অন্যদিকে, তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা হলে রাজ্য সরকার বিধানসভায় তার জবাব দেবে৷ অন্য কাউকে এই বিষয়ে জবাব দিতে বাধ্য নয়৷ অন্যদিকে, জেড ক্যাটাগরির ছাড়াও অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল জেপি নাড্ডাকে৷  বুলেটপ্রুফ গাড়ি ও তাঁর কনভয়ের সঙ্গে ছিল পুলিশের পাইলট৷ রাজ্য পুলিশের এসকর্ট ছাড়াও ছিল সিআরপিএফ জওয়ানরা৷ তাঁর কথায়, জেড ক্যাটাগরির কোনও ব্যক্তি স্কট নিয়ে গেলে তার আগে বা পিছনে কেউ থাকতে পারেন না৷ এই নিয়ম প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ কিন্তু গতকাল নাড্ডার কনভয়ের আগে প্রায় ৫০টিরও বেশি মোটরবাইক ছিল৷ পিছনেও ছিল বাইকের মিছিল৷

কল্যাণবাবু বলেন, নাড্ডার কনভয় যাওয়ার সময় রাকেশ সিং তৃণমূল মঞ্চের সামনে তৃণমূল কর্মীদের দেখে অঙ্গভঙ্গী করতে থাকেন৷ যা খুবই অশালীন৷ তিনিই আসল অপরাধী৷ এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলা ঝুলে রয়েছে৷ রয়েছেন ফৌজদারি মামলাও৷ কেন একজন অপরাধীকে নাড্ডা নিজের সঙ্গে নিয়ে গেলেন? কেন কনভয়ের সঙ্গে এতগুলো গাড়ি গেল? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ নাড্ডা নিজেই আইন ভেঙেছে বলেও অভিযোগ তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, কোনও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এইভাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিএসপিই-কে তলব করতে পারে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ কোন আইনে তাঁদের ডাকা হল, কেন্দ্রকে তাঁর জাবাব দিতে হবেও তিনি সুর চড়ান৷ কেন্দ্রীয় সরকার আইন বহির্ভূত কাজ করছে বলেও তোপ দাগেন তিনি৷ কল্যাণবাবু বলেন, অসাংবিধানিক কাজের জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করছি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 7 =