কলকাতা: বর্তমান ট্রানস্ফার প্রক্রিয়া যে নিয়মে চলছে, নতুন এই গেজেট নোটিফিকেশনে নতুনত্ব তেমন কিছু নেই। অনেকগুলি যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল সেগুলি পরিষ্কার হয়নি নোটিফিকেশনের মধ্য দিয়ে। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী এমনটাই জানিয়েছেন এই বিষয়ে। এই প্রেক্ষিতে তিনি কয়েকটি ইস্যুতে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যের গঠিত SIT-এর মাথায় মঞ্জুলা চেল্লুর
তিনি প্রশ্ন তোলেন, প্রেফার ক্যাটাগরি ছাড়া সিঙ্গেল টিচার হলে কোন শিক্ষকের বদলির আবেদন গ্রাহ্য করা যাবে না। এই বিষয়টি উল্লেখ থাকার ফলে বিদ্যালয় ব্যবস্থা বিরাট অংশের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বদলির সুযোগ পাবেন না। কেননা বিদ্যালয় শিক্ষায় বহু পোস্ট সিঙ্গেল অবস্থায় রয়েছে সেগুলি কোনদিনই ডবল নয়। তাহলে তাঁরা কিভাবে ট্রান্সফারের সুযোগ পাবেন? তাঁর আরও বক্তব্য, যারা ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের বিদ্যালয়ে রয়েছেন অথবা ভিন্ন জেলায় রয়েছেন তাঁদের বদলির ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর ফলে জুনিয়ার হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বদলির সুযোগ পাবেন না বললেই চলে। কেননা, অধিকাংশ জুনিয়র হাই স্কুল গুলোতে ২/৩ জন করে শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। তারা সবাই সিঙ্গেল পোস্টে রয়েছেন। তিনি বলছেন, এই বিষয়গুলি দ্রুত সমাধান না হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হবে।
আরও পড়ুন- হিন্দুদের রক্ত লেগে মমতার হাতে! ‘দুর্গা প্রতিমা’ তৈরিতে ক্ষুব্ধ অমিত
এদিকে, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির অনিমেষ হালদারের বক্তব্য, অনেকেই এনি আদার গ্রাউন্ডে (অন্যান্য কারণে) সাধারণ বদলির নিয়োগপত্র হাতে পেলেও “উৎসশ্রী” পোর্টালে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে বদলির বিষয়টি এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না। তাই তাঁরা শিক্ষা দপ্তরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। এখন এই নির্দেশিকার ফলে শারীরিক অসুস্থতা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদের বদলির প্রক্রিয়া গতিশীল হবে বলেই আশা করছেন।