কলকাতা: আগামী শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট পর্ব শুরু হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় দফাতেই ভোট এই বছরের বিধানসভার সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। সেখানে সম্মুখ সমরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় দফার প্রার্থীদের শিক্ষাগতযোগ্যতা থেকে শুরু করে সম্পত্তির পরিমাণ সহ একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম বা দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সংস্কারের জন্য কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘ইলেকশন ওয়াচ’। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে গত পাঁচ বছরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তি, অন্যদিকে অনেকটাই কমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ।
তথ্য বলছে, নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ গত ২০১৬ সালের তুলনায় কমেছে ৪৫.০৮ শতাংশ এবং এই একই সময় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তি বেড়েছে ৬৮.৫৫ শতাংশ! সম্পত্তির পরিমাণ এর পাশাপাশি কত জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে এবং কাদের কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা সেই হিসেবেও তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ১৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৩৬ জন গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। এর পাশাপাশি, দ্বিতীয় দফার ১৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মধ্যে। ১০১ জন স্নাতক বা তার বেশি পড়াশোনা করেছেন।
আরও পড়ুন- মাছের তেলে মাছ ভেজেছে মিথ্যেবাদী মোদী সরকার, একহাত নিলেন মমতা
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শুভেন্দু সরাসরি আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিল করার! তাঁর অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা রয়েছে, কিন্তু হলফনামায় সেটি লুকিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। তবে লাভ হয়নি কিছুই। শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে আরসি০২২/২০০৮ এই মামলা সম্পর্কে তথ্য সন্ধান করতে গিয়ে যানা যায়, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী নন৷ তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের এক গ্রুপ ডি স্টাফের স্ত্রী৷