কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তিনি নাম না করেই সোশ্যাল মিডিয়াতে এই হুমকি দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে লালবাজারে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই ঘটনায় আজ গ্রেফতার হলেন ওই অধ্যাপক। তিনি বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের অধ্যাপক অরিন্দম ভট্টাচার্য।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই অধ্যাপক বিতর্কিত কথাবার্তা বলেন বলে অভিযোগ ছিল। এতদিন তা হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তিনি ফেসবুকে হুমকি দিয়ে দেন। একটি ফেসবুক গ্রুপে আলোচনা চলাকালীন তিনি মন্তব্য করেন, ‘এখনও হত্যা করতে চাই। পা চাটা কুত্তা নই আমি, আমি অশিক্ষিত বিরোধী’। তারপরেই শোরগোল শুরু হয়ে যায়। সেই প্রেক্ষিতেই আজ বেলেঘাটার একটি আবাসনে হানা দিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোনটিও। ঘটনার তদন্ত পুলিশ ছাড়াও শুরু করেছে ফরেন্সিক বিভাগ। ওই অধ্যাপকের সঙ্গে নাশকতার কোনও সম্পর্ক আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছিলেন সেই তমাল দত্ত ও দেবর্ষি রায়ের বক্তব্য ছিল, রাজনৈতিক কারণে এমনিতেই উস্কানিমূলক মন্তব্য শুনতে হয়, ভোটের আবহে হয়েছে। কিন্তু এইভাবে যদি একজন অধ্যাপক সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই মনোভাব ব্যক্ত করেন তাহলে সেই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়ায় মত এবং চিন্তাজনক ব্যাপার।
আরও পড়ুন- জইশ জঙ্গিরা মুক্ত কাবুলে, প্রশিক্ষণে মাসুদ! ভারতে হামলার ছক
অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরোক্ষে উল্লেখ করেন এই ব্যাপারটির। বলেন, কেউ কেউ তাঁকে খুন করতে চায়, কিন্তু পারবে না। সিপিএম তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল, বিজেপিও নন্দীগ্রামে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। মূলত মমতার এই বক্তব্যের পরেই তৎপর হয়েছে পুলিশ। তবে অনেকেই মনে করছেন যে, ওই অধ্যাপকের স্ত্রী হয়তো চাকরি পাননি এই সরকারের আমলে, তাই সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন। আসলে স্ত্রীর চাকরি না পাওয়ার বিষয়টির জন্য তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করছেন। তাই হয়ত এত বড় কথা একদম সবার সামনে বলার সাহস পেয়েছেন।