কোভিডের কাজ করা আশাকর্মীর বাড়িতে পুলিশি হানা, তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার ইউনিয়ন

কোভিডের কাজ করা আশাকর্মীর বাড়িতে পুলিশি হানা, তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার ইউনিয়ন

6c9d1b453fb4bba809a83ff6698c583e

ডেবরা: অতিমারি পরিস্থিতিতে আশাকর্মীরা একেবারে সামনের সারিতে থেকে নিজের ও নিজের পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। নিজ নিজ এলাকায় কোভিড নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা সহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। এমতাবস্থায় আশাকর্মীর বাড়িতে পুলিশি অভিযানের তীব্র প্রতিবাদ জানাল ডেবরার আশাকর্মীরা৷ 

আরও পড়ুন- আদালতে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়ি থেকে পালাল বন্দি

ডেবরা আর এইচ সাব-সেন্টারের অধীন কর্মরত এক আশাকর্মী সুপ্রিয়া দোলই হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারেন বারাগড় এলাকার বাসিন্দা বিজয় সামন্তের ছেলে কৌশিক সামন্ত ১৫ জুন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই খবর পেয়ে খোঁজ নিতে যান সুপ্রিয়াদেবী৷ কিন্তু ওই পরিবারের তরফে কোভিড পজিটিভের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়। অনেক কথাবার্তা বলে তাঁদের বোঝানোর পর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন তাঁরা। এরপর সুপ্রিয়াদেবী তাঁদের পরিবারকে নিয়ম অনুযায়ী হোম আইসোলেশনে থাকা সহ যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন। কিন্তু কৌশিক সামন্তের পরিবার আশা কর্মী সুপ্রিয়া দোলইকে অপমানজনক কথা বলেন বলে অভিযোগ৷ 

এখানেই শেষ নয়৷ ২৭ জুলাই ডেবরা থানা থেকে ৪-৫ জন পুলিশ সুপ্রিয়াদেবীর বাড়িতে যান এবং তাঁকে থানায় যাওয়ার জন্য বলেন। এর প্রত্যুত্তরে সুপ্রিয়াদেবী জানান, তিনি বিষয়টি বিএমওএইচ-এর কাছে জানাবেন। তারপর প্রয়োজন হলে থানায় যাবেন। তার আগে নয়। তাঁর কথা শুনে পুলিশ ফিরে যায়৷ পরবর্তীকালে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু একজন আশাকর্মীর বাড়িতে এই ভাবে পুলিশ আসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিয়ার পরিবার আতঙ্কিত এবং অপমানিত।

আরও পড়ুন- নাবালিকাকে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার, চাঞ্চল্য নৈহাটি জুড়ে

এই ঘটনায় সমস্ত আশা কর্মীরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং অপমানিত বোধ করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীগণ বিপদে পড়লে তাঁদের রক্ষা করার পরিবর্তে পুলিশের এই আচরণ কোনও ভাবে কী মেনে নেওয়া যায়?  প্রশ্ন তোলেন তাঁরা৷ এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করে প্রতিকার দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়ন৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *