ভোটের আগে ফের বদলি! সরানো হল কলকাতার স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসারকে

ভোটের আগে ফের বদলি! সরানো হল কলকাতার স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসারকে

aec3499a4e015e79f2975e50a6cb6490

কলকাতা: ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হতে। তার আগে ফের পুলিশ অফিসার বদলি করল নির্বাচন কমিশন। সরানো হল কলকাতার স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ অফিসার শান্তনু সিনহা বিশ্বাসকে। এনার বিরুদ্ধে পোস্টাল ব্যালটে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে অপসারিত করেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে অপসারিত পুলিশ অফিসার শান্তনু সিনহা বিশ্বাস পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সদস্য ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টাল ব্যালটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। তাদের বক্তব্য ছিল, আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড নিয়ে পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি করতেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে আজ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না।

এর আগে বদলি করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের আরো ৫ কর্তাকে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ কলকাতা শাখার ডিসি, ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ছাড়াও বদলির তালিকায় নাম রয়েছে আরো তিন জনের। ভোটের আগে রাজ্যের এই প্রশাসনিক স্তরের রদবদল নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। দক্ষিণ কলকাতার ডিসিপি সুধীর নীলকণ্ঠকে বদলি করে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে আইপিএস কর্তা আকাশ মাঘারিয়া। এছাড়া, ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার তথা আইপিএস কর্তা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় বদলি হয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন অরিজিৎ সিন্‌হা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে বাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ। ফলে এই দুই এলাকার প্রশাসনিক রদবদলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন: মহিলাদের হাতে অনেক কিছু! নির্বাচনের মোড় ঘোরাতে পারে নারীশক্তি

এছাড়া, আর যে সমস্ত এলাকায় প্রশাসনিক রদবদল করা হয়েছে, সেগুলি হল পশ্চিমাঞ্চলের এডিজি সঞ্জয় সিংহের বদলি হিসাবে আইপিএস রাজেশ কুমার, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানির বদলি আইএএস জয়েশী দাশগুপ্ত, এবং কোচবিহারের পুলিশ সুপার  কে কান্নানের বদলি আইপিএস কর্তা দেবাশিস ধর। রাজ্যে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনো প্রশাসনিক কাজে যুক্ত হতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *