কলকাতা: মুচিপাড়া কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে দু’দিনের পুলিশি হেফজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ আগামী সোমবার ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে৷ আগামী দু’দিন পুলিশি হেফাজতেই থাকবেন বিজেপি নেতা৷
আরও পড়ুন- কৃষ্ণ নামে মজলেন শুভেন্দু, করলেন গীতা বিতরণের অঙ্গীকার
এদিন আদালতে সজল ঘোষের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল একটি হাসপাতালের মালিক৷ পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে৷ সোনার দোকান রয়েছে তাঁদের৷ রয়েছে আরও নানা ধরনের ব্যবসা৷ ফলত একটি প্লাইউডের দোকান থেক ২৫ হাজার টাকা চুরির যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সেটি আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়৷ আর্থিক দিক থেকে এতটা স্বচ্ছ্বল পরিবার কেন ২৫ হাজার টাকা চুরি করবে? তাঁর আইনজীবী আরও বলেন, গ্রেফতারের আগে মুচিপাড়া থানায় ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন সজল ঘোষ৷ পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি৷ সেই সময় পুলিশ অফিসাররা তাঁকে গ্রেফতারও করলেন না৷ তিনি থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বাড়িতে গিয়ে দরজায় লাথি মেরে দরজা ভেঙে গ্রেফতার করা হল৷ কেন এমন করা হল? তিনি কি সন্ত্রাসহাদী? পাশাপাশি সজল ঘোষের জামিনের আবেদনও জানানো হয়েছে৷
অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, পুলিশ জানাচ্ছে আগ্নায়াস্ত্র, রড নিয়ে ওই প্লাইউডের দোকানে যাওয়া হয়েছিল৷ যার নেতৃত্বে ছিলেন সজল ঘোষ৷ বাইক নিয়ে চড়াও হয়েছিল অভিযুক্তরা৷ তবে এখনও পর্যন্ত ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়নি৷ এই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার জন্য সজল ঘোষের বিবৃতি প্রয়োজন৷ সে জন্যেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ৷ অস্ত্র আইনে যে ধারা দেওয়া হয়েছে, তার সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর। আইনজীবী আরও বলেন, তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক যোগ রয়েছে। তাঁরা কতটা প্রভাবশালী, ,সেটা অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা বুঝিয়ে দিয়েছেন৷ সেই কারণে জামিনের বিরোধিতাও করা হয়েছে৷ উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন- সংসারের হাল ধরতে বই-খাতা ফেলে চায়ের দোকানে ‘কন্যাশ্রী’ টুম্পা
আজ সজল ঘোষকে আদালতে পেশ করার সম বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা৷ বিক্ষোভ ছিল পুলিশ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে৷ সজল ঘোষের পুলিশি হেফাজতের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা৷ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছে ক্লাব ভাঙচুর ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় মুচিপাড়ায়। কার্যত তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত বাঁধে। এই ইস্যুতেই গতকাল দরজা ভেঙে পুলিশ আধিকারিকরা বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ির ভিতরে ঢোকে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়৷