কলকাতা: করোনা ভীতি কার্যত কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে নতুন করে অন্য এক ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের। তা হল অ্যাডিনোভাইরাস। পরিস্থিতি যে খুব একটা সুখকর নয় তা প্রমাণ দিচ্ছে পরপর শিশুমৃত্যুর ঘটনা। শেষ কয়েকদিনে অন্তত ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে শহরের হাসপাতালগুলিতে শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যাও। গোটা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহল।
আরও পড়ুন- ‘ফ্রি’র দিন শেষ! এবার ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামের জন্য খসবে টাকা! চোখ কপালে ইউজারদের
খবর মিলেছে, শেষ তিনদিনে মোট ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। মঙ্গলবার সকালেই কলকাতার হাসপাতালে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অ্যাডিনোভাইরাসের সঙ্গে বাড়ছে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ। মৃতদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাস এবং নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা গিয়েছে বলেই জানান হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আগেই একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছিল এই ভাইরাসের বৃদ্ধির কারণে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ এসেছে যে জ্বর ও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া হাসপাতালে থাকা পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটরগুলি ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ সহ বাকি সরঞ্জাম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তার দিকেও নজর দিতে হবে বলে নির্দেশ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে কত সুরক্ষিত বড়রা? How safe are adults from adenovirus?” width=”835″>
স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, রাত ১২টা থেকে পরের দিন রাত ১২টার হিসেবে প্রতিদিনের রিপোর্ট করতে হবে। আর নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং ইমেলে পাঠাতে হবে সেই নথি। পাশাপাশি সব হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, অসুস্থ বাচ্চাদের চাপ সামাল দিতে বাঙুরের পর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৫০টি শয্যা শিশুদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।