করোনা পরীক্ষার নামে প্রহসন! নিজের নমুনা নিজেই সংগ্রহ করছেন রোগী

করোনা পরীক্ষার নামে প্রহসন! নিজের নমুনা নিজেই সংগ্রহ করছেন রোগী

জঙ্গীপুর: জঙ্গীপুর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নামে চলছে প্রহসন৷ কোনও স্বাস্থ্যকর্মী নয়৷ করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীকে নিজের নমুনা নিজেকেই সংগ্রহ করে দিতে হচ্ছে৷ যে কাজ স্বাস্থ্যকর্মীর করার কথা, সেই কাজ করছেন খোদ রোগী ৷ 

আরও পড়ুন- অবশেষে করোনা পরিস্থিতিতে নজর, বাংলায় সভা বাতিল অমিতের

মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জঙ্গীপুর৷ করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি এখানে৷ এই এলাকায় প্রায় ঘরে ঘরে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে৷ অথচ এখানেই বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা৷ হাসপাতালের কাউন্টারের বাইরে রাখা রয়েছে করোনা পরীক্ষার সামগ্রী৷ রোগীরা এসে নিজেরাই নিজেদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রেখে যাচ্ছেন৷ এভাবেই চলছে সোয়াব টেস্ট৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, এখানে কোনও সিরিয়াল রাখা নেই৷ ফলে কার টেস্ট, কোথায় রয়েছে, কিছুই বোঝার উপায় নেই৷ শুধু এখানকার একমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীর হাতে একটি তালিকা রয়েছে৷ সেই তালিকা মেনে এখানে টেস্ট করা হচ্ছে৷ যে কোনও কারণে ভুলবশত একটা পরিবর্তন হয়ে গেলে সমস্ত সিরিয়ালটাই নষ্ট হয়ে যাবে৷ প্রসঙ্গত, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নমুনা যাবে বহরমপুর হাসপাতালে৷ হাসপাতালের দাবি, তাঁদের কিছু করার নেই৷ কারণ এই হাসপাতালের অধিকাংশ কর্মীই করোনা আত্রান্ত৷ গোটা বিষয়টি দেখছেন একমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী৷ 

হাসপাতালে উপস্থিত এক রোগী বলেন, সকাল থেকে ২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের নমুনা নিজেকেই সংগ্রহ করতে হল৷ এখানে কোনও কোভিড প্রোটোকল মানা হচ্ছে না৷ তিনি আরও জানান, এখানে কোনও সিরিয়াল নম্বর মানা হচ্ছে না৷ চিহ্নিতকরণের কোনও উপায় নেই৷ যে যেখানে পারছে রেখে দিচ্ছে৷ এতে সঠিক রিপোর্ট আসবে কিনা আমরা সন্দিহান৷ তিনি আরও জানান, তাঁর এক আত্মীয় রিপোর্ট পেয়েছেন৷ কিন্তু সেখানে পজেটিভ বা নেগিটিভ কিছুই লেখা নেই৷ মোবাইলের একটি লিঙ্ক দেওয়া হচ্ছে৷ সেখানে ক্লিক করেও কিছু জানা যায়নি৷ কোভিড টেস্টের নামে এখানে প্রহসন চলছে৷ 

আরও পড়ুন- জেনারেল ওয়ার্ডে এলেন স্থিতিশীল মদন মিত্র, এদিকে কোভিড আক্রান্ত শতরূপ

প্রথমত, কোভিড প্রোটোকল না মেনে রোগী এখানে নিজেই নিজের সোয়াব নিচ্ছেন৷ তার পর যে ভাবে এখানে নমুনা রাখা হচ্ছে তাতে অন্তত একটা নম্বর দেওয়া উচিত৷ যা মানা হচ্ছে না৷ এক রোগী আবার বলেন, নমুনা দেওয়ার পর কোনও মেসেজ তিনি পাননি৷ ফলে রোগীরাও উদ্বেগে৷  স্বাস্থ্যকর্মী অবশ্য বলেন, এই নমুনাগুলি সঠিক ভাবে স্যানিটাইজ করে সিরিয়াল অনুযায়ী পাঠানো হবে৷ মোবাইলে এন্ট্রিও করা হবে৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *