কলকাতা: ভুল চিকিৎসার ফলে এক রোগীর ডানহাতের একাংশ বাদ চলে গিয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে খড়্গপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য কমিশনে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীয় অচলাবস্থা কাটাতে পুলিশি হস্তক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, বাঁ হাতের একটি আঙুলের সমস্যা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন গীতারানী মন্ডল নামের এক মহিলা। তিনি খড়গপুরেরই বাসিন্দা। সমস্যার কারণে আঙ্গুলের অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা এবং অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরের দিন ওই রোগীর ডান হাতে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয় এবং তার পর থেকেই তাঁর হাতে যন্ত্রণা শুরু হতে থাকে অসহ্য। রোগীর ছেলের অভিযোগ, রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল। তারপরেই ওই হাতের চিকিৎসা করাতে অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন গীতারানি সেখানেই তাঁর ডান হাতের কনুই পর্যন্ত বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য কমিশনের খড়্গপুরের ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন দোলন কুমার মন্ডল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সবকিছু খতিয়ে দেখার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার। একই সঙ্গে ওই রোগীর দুই হাতের চিকিৎসার ভার বহন করছে ওই হাসপাতাল।
আরও পড়ুন- জিএটিই ২০২২ পরীক্ষায় দু’টি পেপার যুক্ত
এদিকে, আজই আবার এক ব্যক্তিকে একসঙ্গে তিনবার করোনা টিকা দেওয়ার মত গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে বাংলায়। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ব্লকের ধূপপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টিকাকরণ শিবিরে এই ঘটনা ঘটেছে। কর্তব্যরত নার্স এই চরম গাফিলতি ঘটান। পরপর টিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই ব্যক্তি। পরে তাঁকে মাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম পরিতোষ রায়।