কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীদের একহাত নিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পরিযায়ী ইস্যু থেকে বেকারত্ব, ভ্যাকসিন একাধিক বিষয়ে আক্রমণ শানালেন শিল্পমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা! BA কমিটির বৈঠক বয়কট BJP-র
এদিন শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা বলতেই আমায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা বিরোধিতার জন্য বিরোধীতা করব না। যাতে গঠনমূলক আলোচনা করা যায়, সেদিকেই নজর রাখব। লোকসভায় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যখন আলোচনা হয়েছিল, তখন আপনারা উত্তর দেননি৷ পরিসংখ্যান দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র৷ কেন সেদিন পরিসংখ্যান দেওয়া হল না? তিনি আরও বলেন, সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের বেকারত্বের জন্য কেন্দ্র সরকার দায়ী। বহু শিল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ আপনারা বিধানসভায় এসে মহৎ হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এদিন শিল্পমন্ত্রী বলেন, আপনারা আত্মনির্ভর ভারত না করে লুটেরা ভারত তৈরি করে ফেললেন৷ সেম ইন্ডিয়া, সেল ইন্ডিয়া করে ফেলেছেন৷ এর পর সুর চড়িয়ে বলেন, আমার কণ্ঠস্বর বামপন্থীরা আটকাতে পারেনি আপনারাও পারবেন না৷ শিপিং কর্পোরেশন, কোল ইন্ডিয়া, আর্থিক সুস্বাস্থের কথা বলে৷ আমরা সুস্বাস্থের চেষ্টা করেছি৷
ভ্যাকসিন নিয়েও সুর চড়ান শিল্পমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, বিহারে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন প্রত্যেক বিহারবাসীকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেবেন৷ কিন্তু উনি তা দেননি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেবেন৷ উনি তা দিয়েছেন৷ রাজ্য কোষাগারের টাকায় এই ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন নীতির জেরে রাজ্য সরকার প্রয়োজন মতো টিকা পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভ্যাকসিন চেয়ে পাচ্ছেন না। আমাদের গাফিলতি ধারার জন্য আপনারা আছেন, কিন্তু আপনাদের গাফিলতি কি হবে?
আরও পড়ুন- ৬০ হাজার কোটি বকেয়া! কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন ডেরেক
করোনা পরিস্থিতিতে কাজ নিয়ে পার্থ বলেন, আমাদের রাজ্যে কোনও ছাঁটাই হয়নি৷ কারোর চাকুরি যায়নি৷ কারোর মাইনে কাটা হয়নি৷ কারণ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কেন্দ্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির মিল নেই৷ আসুন সবাই মিলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাই রাজ্যের বকেয়া টাকা যাতে ফেরত দেওয়া হয়৷ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে করের টাকা কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ অথচ রাজ্যের বকেয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে না।