কোনও লড়াই ছিল না! বাংলায় ‘টাটা’কে স্বাগত জানাচ্ছেন পার্থ

কোনও লড়াই ছিল না! বাংলায় ‘টাটা’কে স্বাগত জানাচ্ছেন পার্থ

কলকাতা: সিঙ্গুর। টাটা কারখানা। প্রতিবাদ। আন্দোলন। তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শব্দগুলোই সব বলে দিচ্ছে, আলাদা করে এই ঘটনা নিয়ে কিছুই বলে দিতে হবে না। ঘটনা ঘটে গিয়েছে ১৩ বছর আগে। তবে এখনও সেই সিঙ্গুর আন্দোলন ভুলতে পারেনি বাংলা। সেই সময় টাটা চলে গিয়েছিল। তারপর থেকে সেইভাবে আর বড় কোনও শিল্প আসনি বাংলাতে। এই ইস্যুতে বারংবার সমলোচিত হয়েছে শাসক দল। তবে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর হয়ত পট পরিবর্তন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্তত শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় তাই প্রকাশ পাচ্ছে।

বাংলার ফের একবার টাটাকে স্বাগত জানালেন তিনি। বললেন, টাটা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও লড়াই ছিল না। বাংলায় তাঁদের স্বাগত! পার্থর কথায়, তখন সমস্যা ছিল বামেদের জোর করে জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়ে। গোটা বিশ্ব তথা ভারতের তাবড় তাবড় শিল্পগোষ্ঠীদের মধ্যে অন্যতম টাটা। ওদের দোষ দেওয়া যায় না। তাই লড়াই ওদের বিরুদ্ধে ছিল না। বাংলায় বিনিয়োগের জন্য ওদের সবসময় স্বাগত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন টাটার সঙ্গে হাত মেলানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানিয়েছিলেন, টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় দুটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হবে। যার একটি হবে কলকাতা এসএসকেএম-এ এবং অন্যটি হবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আরও পড়ুন- মূল্যায়নে গুরুত্ব নবম-একাদশে, নম্বর বাড়ানোর চাপে নাজেহাল প্রধান শিক্ষকরা

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, বাংলার কমপক্ষে ২৫ শতাংশ ক্যান্সার রোগী মহারাষ্ট্রে যান টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে। সেই কারণে তাদের আলাদা ঝুঁকি প্রভাতে হয় কারণ সেখানে আলাদা করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয় তাদের। সেই কারণেই রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার বাংলাতেই দুটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা, এই দুটি হাসপাতাল তৈরি হয়ে গেলে রাজ্যের মানুষকে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য আর বাংলার বাইরে যেতে হবে না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − seven =