মনোনয়ন বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে কমিশন! বিস্ফোরক অভিযোগ পার্থর

মনোনয়ন বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে কমিশন! বিস্ফোরক অভিযোগ পার্থর

কলকাতা: পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন ঘিরে বিতর্ক বহাল রয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করার জন্য সব রকমের চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন! পুরুলিয়ার জয়পুরের প্রার্থীর বিষয় নিয়ে জল ঘোলা চলছে। যদিও, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বড় ধাক্কা খেয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ‌ কারণ পুরুলিয়ার জয়পুরের প্রার্থীর মনোনয়ন ইতিমধ্যেই বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট।

সম্প্রতি পুরুলিয়ার জয়পুরে তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল করার সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। জানানো হয়েছিল, প্রার্থীর মনোনয়নই তারিখ ভুল থাকা অত্যন্ত সামান্য ব্যাপার। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে নির্বাচন কমিশন। সেই মামলাতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রায় দিয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এবার আর ওই আসনে ঘাসফুল শিবির কোন প্রার্থী দিতে পারবে না। এই আবহেই তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায়ও বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছে ঘাসফুল শিবির। সেই প্রসঙ্গে আবার বিজেপি দাবি করেছে, এইভাবে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে তৃণমূল কংগ্রেস আদতে তার গুরুত্ব এবং উচ্চতাকে খাটো করতে চাইছে, অপমান করতে চাইছে। 

আরও পড়ুন- ‘বিজেপিকে যেন কেউ একটিও ভোট না দেয়’, দাবি সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার

হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তার ফলে এবার ২৯০টি আসনে এবার সরাসরি লড়বে তৃণমূল৷ কেননা, এর আগে তৃণমূল সুপ্রিমো পাহাড়ে বন্ধুদের জন্য ৩টি আসন ছেড়ে ২৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন৷ জয়পুর কেন্দ্র তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় শুরু থেকেই ১টি আসন হারালো তৃণমূল৷ জানা গিয়েছে, ওই আসনে মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন প্রার্থী। কিন্তু উজ্জ্বল কুমারের হলফনামায় ভুল থাকায় তাকে পরের দিন নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে বলা হয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রেও তারিখের ভুল থাকায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সমস্যা ছিল, মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন পেরিয়ে যাবার ফলে এখন আর মনোনয়ন পেশ করতে পারতেন না তিনি। তাই এই আসনের প্রার্থী নিয়ে চাপে পড়ে যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা কলকাতায় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ পরে দায়ের হয় হাইকোর্টে মামলা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *