কলকাতা: বিজেপি বিরোধিতায় নিজেদের সবটুকু উজার করে দিচ্ছে সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চা। বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করছে তারা। এখন ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই প্রেক্ষিতে এই ৫ রাজ্য ঘুরে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়া করছে তারা। তাদের স্পষ্ট দাবি, বিজেপিকে যেন কেউ একটিও ভোট না দেয়। বিজেপি বিরোধিতায় পাঞ্জাব থেকে ১০০ কৃষক এসেছেন বাংলায়।
সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার তরফে জানান হয়েছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের সমস্ত কিছু বেচে দিতে চাইছে। ব্যাংক-বীমা রেল কয়লা সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলো কেই বেছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এই বিজেপি সরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথে বসানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি সরকার। তাই তারা যে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সমস্ত রাজ্যগুলিতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আবেদন জানান হচ্ছে, বিজেপিকে যেন একটিও ভোট না দেওয়া হয়। এছাড়াও সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে আগামী ১৫ মার্চ রাজ্যজুড়ে কৃষক আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হান্নান মোল্লা বলছেন, স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষের ইতিহাসে এত বড় ঘটনা হয়নি। ৫০০ সংঘটন আছে। তিনটে ‘কালাকানুন’ কৃষকদের ধ্বংস করবে। ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে ৫০০ সংঘটন ইস্যু নিয়ে কোনো মতভেদ নেই।
আরও পড়ুন: স্মৃতি-ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে মেগা রোড শো! আজ মনোনয়ন জমা শুভেন্দুর
আরও সংযোজন করে তিনি বলেছেন, এই প্রথম নতুন পরিচিতি তৈরি হয়েছে, ‘জাত যায় হোক আমি কৃষাণ’। সাত মাস ধরে আন্দোলন করা হচ্ছে। এই সরকার অমানবিক, ৩০০ লোক মারা গেছে তাতে কিছু এসে যায় না এই সরকারের। এই আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।তাদের সাফ কথা, স্বাধীনতার পর যত গুলি সরকার এসেছে তার মধ্যে সবথেকে জন বিরোধী সরকার এই ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। এই প্রেক্ষিতে মেধা পাটকর বলছেন, ”আজকে বিশেষ দিন। রাজনীতিতে রাজ নেই, নীতি নেই। আমেরিকাতে ট্রাম্পকে হারাতে সাধারণ মানুষের ভূমিকা রয়েছে। আজকের এই সরকার দিল্লিতে বসে আছে, তাকে ধিক্কার জানাই। আজ আমরা সবাই এই ভূমিকে বাঁচাতে আন্দোলন করছি তখন এই সরকার পুরো দেশ বিক্রি করতে চলেছে। বাংলার ক্ষতি করলে আমরা ছাড়ব না। বাংলার ভোটারের কাছে আবেদন ভেবে চিন্তে ভোট দেবেন। অন্ন সুরক্ষা ছিনিয়ে নিচ্ছে। জাতি আর ধর্মের নামে খেলছে এই বিজেপি। এই দেশকে বাঁচাতে হবে।” কৃষক আন্দোলনের শুরু থেকেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বারবার প্রতিনিধি দল পাঠানোর পাশাপাশি নিজেও কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে, বিজেপিকে বিঁধেছেন বারবার। এবার ভোট বঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা। এতে মমতার হাত শক্ত হবে তা বলায় বাহুল্য।