Aajbikel

তিনিই মাস্টারমাইন্ড! নিয়োগের প্রতিটি ধাপে ছিল তাঁর লোক, সায় না দিলেই অপসারণ, দাবি চার্জশিটে

 | 
পার্থ

কলকাতা:  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সিবিআই-এর চার্জশিটে৷ গোটা চক্রে কার্যত তিনিই ছিলেন পালের গোদা৷ ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি করেছিলেন নিজস্ব নেটওয়ার্ক। অনুগত আধিকারিকদের পছন্দের পদ পাইয়ে দিতে কোনও কসুর করতেন না মন্ত্রীমশাই৷ তবে বিরুদ্ধে বললেই, খোয়াতে হত পদ।  চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমনই দাবি করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ তাঁদের দাবি, নিজের দফতরেই সুকৌশলে চাকরি বিক্রির জাল বিস্তার করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আরও কী কী চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে ওই চর্জশিটে?

আরও পড়ুন- খোঁদ নেই সাংসদের! কুলটি জুড়ে 'নিখোঁজ' পোস্টার ‘বিহারিবাবু’র নামে

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি আলিপুর কোর্টে পার্থ সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই৷ তাতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনিই যে মাস্টারমাইন্ড সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। নিয়োগের প্রতিটি ধাপে নিজের লোক বসিয়েছিলেন তিনি৷ কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাঁকে সরিয়ে দিতে তিনি দু’বার ভাবতেন না৷  বেআইনি কাজে অনুমোদন দিতেন তিনিই। অবৈধ নিয়োগে সিলমোহর দিতেই এসএসসি’র উপদেষ্টা পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে৷  শুধু তাই নয়, আমলা না হওয়া সত্ত্বেও, এসএসসি-র সচিব পদে নিয়োগ করা হয়। এসএসসি আইন সংশোধন না করেই নিয়োগ। নিয়োগ সংক্রান্ত রেকমেন্ডেশন লেটারে স্ক্যানড সই ব্যবহার করে নিজের ওএসডি-র মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পাঠাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ এবং ওএসডি-র কথোপকথনের রিকর্ড চলে এসেছে সিবিআই- এর হাতে৷

বেআইনিভাবে আধিকারিকদের নিয়োগের পাশাপাশ তাঁর বিরুদ্ধে সরব হওয়া বহু আধিকারিককে পদ থেকে সরিয়েও দিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। চার্জশিটে সে সকল কথা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ করেছে সিবিআই। এভাবেই সরানো হয়েছিল এসএসসি-র সেন্ট্রাল কমিশনের চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র ও এসএসসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে৷ বেআইনি কাজে মদত না করায় অপসারিত হন আরও এক কর্তা। নম্বর বদলে রাজি না হওয়ায় কোপের মুখে পড়েছিলেন কমিশনের প্রোগ্রামিং অফিসার পর্ণা বোস।


 

Around The Web

Trending News

You May like