কলকাতা: সাতসকালে রাজ্য সড়কে হইচই৷ থমকে যান চলাচল৷ হঠাৎ কী হল? সামনে এগোতেই জানা যায়, এক বৃদ্ধা রাজ্য সড়কের মাঝে মাদুর পেতে বসে রয়েছেন৷ তাঁকে ঘিরেই যত জটলা। এদিকে রাস্তায় ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে যানজট। পরিস্থিতি সামালা দিতে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু, কী এমন ঘটল? ওই বৃদ্ধা জানান, তাঁর একমাত্র ছেলে আর বৌমা তাঁকে দেখেন না। তাই রাস্তায় এসে বসেছেন তিনি৷ বছর ষাটের স্বামীহারা বৃদ্ধা পিয়ারী বেগমকে নিয়ে শুরু হয় হইচই।
আরও পড়ুন- সময়ের আগেই আসছে বর্ষা, ছুটির দিনেও বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা
রবিবার সকালে তমলুক থানার চনশ্বরপুর হাইস্কুলের কাছে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে ওই বৃদ্ধার একক অবরোধে শোরগোল পড়ে এলাকায়। পুলিশ এসে কোনও মতে ওই বৃদ্ধাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বৃদ্ধার দাবি, পুলিশ তাঁর সমস্যার কোনও সমাধান বার করুক৷ পিয়ারী বলেন, ‘‘একমাত্র ছেলের নামে সব জমিজমা লিখেপড়ে দিয়েছি। কিন্তু ছেলে-বৌমা দেখে না, খেতেও দেয় না। অন্যের বাড়িতে থাকতে হয়।’’ তাঁর কথা শুনে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়৷ অবশেষে অবরোধ তুলে নেন তিনি।
বৃদ্ধ বাবা-মায়ের প্রতি ছেলে-বৌমার অবহেলার অভিযোগ ভুরি ভুরি। বহু বাবা-মা অসহায় হয়ে থানা-পুলিশ, কোর্ট-কাছারি করেছে৷ তবে তার বিহিত চেয়ে এভাবে রাস্তা অবরোধ ছিল সত্যই নজিরবিহীন। বৃদ্ধার অভিযোগ পেয়েই তাঁর ছেলে ও বৌমার খোঁজে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়েই আশেপাশে কোথাও লুকিয়ে পড়েন পিয়ারীর ছেলে পিয়ারু মহম্মদ৷ পিয়ারুর স্ত্রী’র দাবি, ‘‘আমরা শাশুড়িকে বাড়িতেই থাকতে বলেছিলাম। উনিই থাকতে চাননি।’’ সব শোনার পর শাশুড়িকে নিয়েই তাঁদের দু’জনকে থানায় যেতে বলে পুলিশ।
বেশ কয়েক বছর আগেই পিয়ারীর স্বামীর মৃত্যু হয়৷ বছর তেলাল্লিশের পিয়ারু কর্মসূত্রে থাকেন ভিন রাজ্যে৷ বেশ কিছু দিন ধরেই ছেলে ও বৌমার সঙ্গে অশান্তি চলছিল তাঁর৷ এর আগে প্রাশনের কাছে বিহিতও চেয়েছিলেন৷ কিন্তু বিহিত পাননি বলেই অভিযোগ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>