কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে অনেকে ৫০-এর ওপর নম্বর পেয়েছে। আবার কারোর কারোর শূন্য বা এক-দুই নম্বর বেড়ে হয়েছে ৫৫-৫৬। কিন্তু এবার যা হল তাকে বলা যায় উলট-পুরান। সম্প্রতি গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত যে ওএমআর সিটের তালিকা এসএসসি প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে অনেকের নম্বর কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘সুযোগ পেলে আবার তৃণমূলকর্মীদের চাকরি দেব’, বিস্ফোরক মদন
অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো গ্রুপ সি নিয়েও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এসএসসি সম্প্রতি যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা দেখে বিস্মিত খোদ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আগের তালিকায় দেখা গিয়েছে, কারোর নম্বর শূন্য থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২ বা ৫২। কিন্তু এবার প্রকাশিত ওই তালিকায় ৫২ থেকে নম্বর কমে দাঁড়িয়েছে ২৩। ঘটনায় অবাক হয়ে এসএসসির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দুর্নীতিতে আরও প্রভাবশালী নাম! ED unearths important details over recruitment scam” width=”560″>
২০১৬ সালের গ্রুপ সি পরীক্ষায় বসেন উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা সেলিম আজাদ। মেধা তালিকায় নাম না থাকায় ২০১৮ সালে তিনি আরটিআই করেন। তার প্রেক্ষিতে এসএসসি জানায়, তিনি ৫২ পেয়েছেন। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত তালিকায় তার নম্বর কমে হয়েছে ২৩। এই প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এর আগে চাকরি গিয়েছে গ্রুপ সি-তে ‘অবৈধ’ নিয়োগ পাওয়া ৮৪২ জন কর্মীর৷ গ্রুপ সি’র ওই চাকরিহারা প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কর্মী নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের ওপর চাকরিচ্যুতরা অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি উচ্চ আদালত।