নন্দীগ্রাম: মঙ্গলবার থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করে দিলেন নিজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে প্রচার অভিযান৷ কর্মীসভা থেকে বিজেপি’র বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি সকলকে শিব চতুর্শীর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে ঈশ্বরের স্মরণাপন্ন হলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- বাংলায় বোমা কারখানাই নেই! অমিতের দাবি মিথ্যে, ‘প্রমাণ’ দিল তৃণমূল
এদিন কর্মীসভা থেকেই মমতা জানিয়েছিলেন, সভা সেরে শহিদ বেদীতে মাল্যদান করতে যাবেন তিনি৷ তারপর যাবেন সিংহবাহিনীর মন্দিরে৷ আর বুধবার হলদিয়ায় গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন৷ মনোনয়ন দেওয়ার পর ফের ফিরে আসবেন নন্দীগ্রামে৷ সেখানে শিব চতুর্দশীর পুজো দিয়ে কলকাতা রওনা হবেন৷ প্রসঙ্গত, শিব চতুর্দশীর দিনই রয়েছে তৃণমূলের ম্যানিফেস্টোর প্রচার৷
এদিন সভা শেষে চণ্ডী মন্দির পরিদর্শনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখান থেকে বেরিয়ে আরও কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি৷ যান পীর স্থান মাজার পরিদর্শনেও৷ এদিন বাসুলি মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে মূর্তিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নিজের হাতে কাসর-ঘণ্টাও বাজান৷ কথা বলেন পুরোহিতদের সঙ্গে৷ উপস্থিত মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানতে চান তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা৷ পুজো দেন সোনাচূড়ায় মন্দিরেও৷
আরও পড়ুন- আমি বহিরাগত? আমাকে হিন্দুকার্ড দেখাবেন না, চ্যালেঞ্জ মমতার
এদিন কর্মীসভায় দাঁড়িয়ে চণ্ডীপাঠও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা হিন্দু-মুসলমান করছেন, তাঁদের বলে রাখি আমিও হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না। হিন্দু ধর্মের আদর্শ মানুষকে ভালবাসা। বিবেকানন্দ হিন্দুধর্ম শিখিয়েছেন৷ সংখ্যালঘুদেরও মসজিদ রয়েছে, দরগা রয়েছে, খ্রিস্টানদের গির্জা রয়েছে। আমি সকালে চণ্ডীপাঠ করে বাড়ি থেকে বেরোই। আমার সঙ্গে হিন্দুধর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে বলবেন৷’’
এছাড়ও তিনি জানান দু’ঘরের একটি বাড়ি তিনি ভাড়া নিয়েছেন। আগামী এক বছরে ২ মাস অন্তর নন্দীগ্রাম আসবেন। মমতা বলেন, আমি নিজে পরে একটা কুঁড়েঘর বানাব নন্দীগ্রামে। মনে রাখবেন, কথা দিলে কথা রাখি আমি। আমি ভাঁওতা দিয়ে, পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে রাজনীতি করি না৷