কলকাতা: আদালত অবমাননার রুল ইস্যু মামলার শুনানি হল তিন বিচারপতির বেঞ্চে। এই শুনানি থেকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং একই সঙ্গে ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি রেজিস্টার জেনারেলকেও একাধিক নির্দেশ।
আরও পড়ুন- সূচনার ৩ দিনের মাথায় ধাক্কা! মাঝ নদীতে আটকে গেল ‘গঙ্গা বিলাস’
এদিন স্পষ্ট জানান হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে কোনও মিটিং, মিছিল করা যাবে না, কোনও পোস্টার মারা যাবে না। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করবেন রেজিস্টার জেনারেল। অন্যদিকে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে গত ৯ জানুয়ারির বয়কটের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে কিনা তা জানতে তলব করা হয়েছে তাঁকে। এছাড়া বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার মারার ঘটনার তদন্ত কতদূর। এদিকে লেক থানা এবং কলকাতা হাইকোর্টের আসিস্টেন্ট কমিশনার অফ পুলিশের কাছে ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
বিচারপতিদের একজন জানান, এটি গুরুতর অভিযোগ। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা মারাত্মক অপরাধ করেছেন। আদালতের কাজে বাধাদান শুধু নয়, বলপূর্বক বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তারা। গোটা ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। এই ঘটনায় তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে তাঁর কাছেও হলফনামা তলব করা হয়েছে। আদালত আরও জানিয়েছে, পোস্টার কোথায় ছাপানো হয়েছে, বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার কারা মেরেছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এইসব বিষয়ে পুলিশ কমিশনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে নির্দেশ, সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্টিল ছবি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।